পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র (প্রথম বর্ষ) - নিখিলনাথ রায়.pdf/১৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> ケベ ঐতিহাসিক চিত্র। লোক ভয়ঙ্কর প্রলয়প্লাবনে সহস্ৰ সহস্ৰ সৌধ সমাকীর্ণ মন্দিরমালামণ্ডিতা মৃগ, পক্ষী মনুষ্যাধুষিত মহীরাবণের মহীয়সী রাজধানীকে অতলস্পর্শ লবণ জলধির কুক্ষিগত করিয়াছিল- আজিও সেই অতলান্তিক “আটলান্টিক” নামে পরিচিত হইলেও তাহার পূর্ব গৌরব সমভাবে অক্ষুঃ রহিয়াছে—আজিও তাহার। পৰ্ব্বতপ্ৰমাণ তরঙ্গ রাজী ফেনায়মান অট্টহাস্যে মনুয্যের ক্ষণস্থায়িণী সভ্যতাকে উপহাস করিয়া কল্লোল কোলাহলের উচ্চকণ্ঠে বলিতেছে—মনুষ্য তোমার বাহা বিজ্ঞান বৈভাবসমৃদ্ধ প্ৰভাবের গৌরব করি ও না। আমি ইচ্ছা করিলে তোমার লীলা নিকেতন বাস ভবনকে মুহূৰ্ত্ত মধ্যে গ্ৰাস করিতে পারি।” শুভ্ৰাত্ৰমণ্ডিত সমুচ্ছি, তশিরঃ পৰ্ব্বত অভ্ৰভঙ্গে বলিতেছে, “মনুষ্য তুমি ভক্তিভূমি ভারতবর্ষে অগাস্ত্যের দ্বারা গুরুভক্ত বিন্ধ্যাকে অবনত করিয়াছ— গোত্ৰাভিদের বাজাঘাতে পৰ্ব্ব তপক্ষ ছিন্ন করিয়াছ । হিমাদ্রি নন্দন মৈনাক আপমান ভয়ে আস্তোনিধির শরণাপন্ন হইয়াছে, কিন্তু কৰ্কটাচলের মৰ্ম্ম বেদনার উষ্ণনিঃশ্বাসে যে ভৈরব অগ্ন্যুদগম হইয়াছিল তাহাতে কুমধ্য সান্নিধ্যে অবস্থিত রাবণ রাজধানী স্বৰ্ণলঙ্কার অতুল ঐশ্বৰ্য্য লবণাঙ্গুরাশির কুক্ষিগত হইয়াছে—তদবধি আজিও ব্যবদ্বীপে রাবণাদ্রির উচ্চ শৃঙ্গে উষ্ণ নিঃশ্বাস নিবৃত্ত হইল না। সেই চির প্রজ্বলিত রাবণের চিন্তানলে যে, কি অভিনব কাণ্ড সংঘটিত হইবে, তাহা কে বলিতে পারে ? ভীষণ বিসু বিয়সের উষ্ণ শ্বাসে ইটালীবাসী শঙ্কিত হইতেছে। ভূধর চঞ্চল হইলে বসুন্ধরা বিচলিত হইবেন। তখন তুমি বিজ্ঞানের বিপুল বৈভবে আত্মরক্ষা করিতে পারিবে না।” পাবক ও পবনের ভৈরবক্রীড়া কে নিবারণ করিতে পারে ? সৃষ্টির প্রথম হইতে র্তাহাদের প্রভাব অক্ষুঃ গৌরবে বিরাজ করিতেছে। সেই বিশ্ববিধান বা নিয়তির কোন পরিাবৰ্ত্ত নাই। সেই সনাতন সত্যধৰ্ম্ম শৈলযুগ হইতে সভ্যতার সুবর্ণযুগ পৰ্য্যন্ত সৰ্ব্বকালেই সমভাবে বিদ্যমান। ভূতসাক্ষী ইতিহাস সেই পুরাতন তত্ত্ব সপ্রমাণ করিতেছে। জড় জগতের উন্নতি কিম্বা অবনতি নাই। অব্যক্ত জড় সৃষ্টি বিশ্ববিধানের অপূৰ্ব্ব নিয়মে, নৈসর্গিক নির্বাচনের অদ্ভুত কৌশলে মনুষ্যে অভিব্যক্ত হইতেছে। সর্বত্রই প্ৰাণসমুদ্রের লীলাতরঙ্গ। জড়ই ক্রমবিকাশের