পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র (প্রথম বর্ষ) - নিখিলনাথ রায়.pdf/২০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२भ दर्द, dभ अश्थT ] [ পৌষ, ১৩১১ । ” রাণী দুৰ্গাবতী । سستحسیس سس۔ খৃষ্টীয় ষোড়শ শতাব্দীর প্রথমভাগে ভারত-অদৃষ্টের পরীক্ষা-স্থল পাণিপথক্ষেত্রে পাঠান-নিশান ধূল্যবলুষ্ঠিত হইলে, মোগলের বিজয়-বাৰ্ত্ত সমগ্ৰ ভারতে পরিব্যাপ্ত হইয়া পড়ে। দিল্লীর পাঠান ত্যক্ত রাজসিংহাসন মোগলের অঙ্গস্পর্শে এক অপূৰ্ব্ব গৌরবে উজ্জল হইয়া উঠে। মোগলবিতাড়িত পাঠানগণ চারিদিকে বিক্ষিপ্ত হইয়া আপনাদিগের আশ্রয় অন্বেষণে ধাবমান । হয়, তাহারা ভারতের ভিন্ন ভিন্ন স্থানে স্থাপিত স্বাধীন হিন্দু ও পাঠান রাজ্যে উপস্থিত হইয়া মোগলের বিজয়িনী শক্তির বিস্তার প্রতিহত করিবার জন্য প্ৰাণপণে যত্ন করিতে থাকে । ষোড়শ শতাব্দীর মধ্যভাগ পৰ্য্যন্ত এইরূপ সংঘর্ষে অতিবাহিত হইয়া যায়। রাজপুত-বীর সংগ্ৰামসিংহের অসি-ঝনৎকারে, আফ- | গানকুলতিলক সেরাসাহের সমর-কৌশলে শান্তিদেবী মোগল শিবির ও প্রাসাদ হইতে কিয়াৎকালের জন্য বিদায় লিষ্টতে বাপ্য হইয়াছিলেন । বাবরসাহের রণক্লান্তি ও হুমায়ুনের পলায়নকষ্ট মোগল-লক্ষ্মীকে নিৰ্ব্বিবাদে দিল্লীর রাজ- “ নিকেতনে অবস্থিতি করিতে দেয় নাই । অবশেষে খৃষ্টীয় ১৫৫৬ অব্দে পুনৰ্ব্বার পাণিপথ-ক্ষেত্রে মোগলের বিজয়-নিশান ভারতাকাশ আলোকিত করিয়া । অনুকুল বায়ুভরে। উডতীয়মান হইল। পাঠানের যৎকিঞ্চিৎ অবশিষ্ট শক্তি । মন্ত্ৰমুগ্ধ ফণিনীর ন্যায় বসুন্ধরাবক্ষে শয়িত হইয়া পড়িল । দিল্লীর রাজসিংহাসন আপনার বক্ষ বিস্তার করিয়া “দিল্লীশ্বরে বা জগদীশ্বরে বা” আকবরসাহিকে তথায় সুদৃঢ়ভাবে স্থাপন করিল। এইরূপে পাঠান শক্তিকে অভিভূত করিয়া, মোগলের বিশ্বব্যাপিনী শক্তি ভারতে বদ্ধমূল হইয়া উঠিল। . . . . . .:}: