পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র (প্রথম বর্ষ) - নিখিলনাথ রায়.pdf/২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

እኳሦ ঐতিহাসিক চিত্ৰ । আদরে আহবান করিলেন এবং তঁহাকেই সুসজ্জিত তরণী:ত্রয় সম্বলিত নবাভিযানের কর্তৃত্বভার অর্পণ করিলেন। ধারাধরের বারিধারা ও নরপতির করুণাধারা একই প্রকার ; যাহার উপর বর্ষিত হয়, তাহাকে প্লাবিত না করিয়া ছাড়ে না। ভাস্কো অবিলম্বে অসাধারণ প্ৰতিপত্তিশালী হইয়া উঠিলেন। তিনি স্বকীয় অভিপ্ৰায়ানুসারে স্বীয় ভ্ৰাতা পলে ও ঘনিষ্ট বন্ধু নিকলস কোয়েলোকে সহকারীরূপে গ্ৰহণ করিলেন। ভাস্কে স্বয়ং “র্যাফেল” নামক সৰ্ব্বোকৃষ্ট জাহাজ খানিতে থাকিলেন, এবং গ্যাব্রিয়েল ও মিগেলে যথাক্রমে পলে ও কোয়েলোকে অধ্যক্ষ নিযুক্ত করিলেন। ১৪৯৭ খৃষ্টাব্দের ৯ই জুলাই তারিখে মহোৎসাহে ও মহাসমারোহে সেই তরণীমালা লিসবন বন্দর পরিত্যাগ করিল। বিদায়কালে অসংখ্য নরনারী অবিরত অশ্রুজল পরিত্যাগ করিয়াছিলেন বলিয়া, সেই বিদায়-ঘাটের নাম হইয়াছিল “অশ্রুময় তীর” । কতদিন ধরিয়া তরণী ত্ৰয় অপরিজ্ঞাত জলধি-পথে চলিল ; কোথায় যাইতেছে, কখনও ফিরিবে কি না, কেহ জানিত না। কিন্তু ভাস্কো ডা গামার সাহস আদম্য এবং লক্ষ্য অবিচলিত। যখনই কেহ প্ৰত্যাগত হইবার অভিপ্ৰায় জানাইত, তখনই তিনি দৃঢ়তাব্যঞ্জক তারস্বরে উত্তর করিতেন। “হয়। ভারত, নয় মরণ-এই উভয়ের একতারই আমার একমাত্ৰ সাধনা ৷” কিছুদিন পরে তিনি সেণ্ট হেলেনা দ্বীপ আবিষ্কার করিলেন। সেখান হইতে আরও অগ্রসর হইলে পথিমধ্যে তাহারা এক ভীষণ ঝটিকা দ্বারা আক্রান্ত হন। কিন্তু গামা ঈশ্বরের কৃপা ও মনের সাহসের উপর নির্ভর করিয়া, অগ্রসর হইলেন। ঝড় থামিল ; তিন খানি জাহাজ একত্ৰ হইয়া, আফ্রিকার উপকূলে পৌছিল ; তিন জন অধ্যক্ষ আবার স্নেহালিঙ্গন ও আমোদ প্রমোদে কয়েক দিন অতিবাহিত করিলেন। এস্থানে কতকগুলি নগ্নদেহ, কৃষ্ণবর্ণ অসভ্য অধিবাসীর সহিত দেখা হইল ; গামা তাহাদিগকে, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ঘণ্টা, কাচখণ্ড ও প্রবালাদি দিয়া বশীভূত করিলেন ; কিন্তু ভারতবর্ষসম্বন্ধীয় কোনও সংবাদ তাহাদিগের নিকট পাইলেন না। কিছুদিন পরে ২০শে নভেম্বর তারিখে