পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র (প্রথম বর্ষ) - নিখিলনাথ রায়.pdf/৩৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

धैङिछाजिक द्धि । 98ܘܢ কার্জন-প্ৰতিবাদ-সভা-আমাদিগের মহামতি রাজপ্ৰতিনিধি লর্ড কার্জন বাহাদুর গত ১১ই ফেব্রুয়ারি কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাধি বিতরণ উপলক্ষে প্ৰাচ্য জাতিদের অপেক্ষা প্রতীচ্যেরা অগ্ৰেী সত্যনিষ্ঠার আদর করিতে শিখে, এই কথা গুরু গম্ভীরস্বরে উচ্চারণ করিয়া দেশমধ্যে এক বিরাট আন্দোলনের সৃষ্টি করিয়াছেন। নানা কারণে দেখা যাইতেছে যে লর্ড কার্জন বাহাদুরের ইদানীং যেন অনেক বিষয়ে ধৈৰ্য্যচুতি ঘটতেছে। সে দিন মন্ত্রিসভায় বিশ্ববিদ্যালয় আইনের সংশোধন বিধির আলোচনা কালে মাননীয় গোখেল মহোদয়ের ওজস্বিনী বক্তৃতা ও স্পষ্টবাদিত শুনিয়া তাহার ধৈৰ্য্যচুক্তি ঘটে, তাহারই পর তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাধি বিতরণ উপলক্ষে উক্ত মন্তবা প্ৰকাশ করেন । সংবাদ পত্ৰাদিতে ইহার আলোচনার পর ২০এ মার্চ কলিকাতার টাউন হলে তাহার মন্তব্যের ও সাধারণ শাসননীতির এক বিরাট প্ৰতিবাদ সভা হয় । তাহাতে ডাক্তার রাসবিহারী ঘোষ মহাশয় সভাপতির আসন গ্ৰহণ করিয়াছিলেন। সে দিবস সভাপতির বক্তৃতা ব্যতীত অন্য কেহ বক্তৃতামঞ্চে দণ্ডায়মান হন নাই । সভাপতির যুক্তিপূর্ণ ধীর প্রতিবাদে সকলেই চমৎকৃত হইয়াছিলেন। এমন কি ইংরেজী সংবাদ-পত্ৰ সমূহও র্তাহার বক্ততার অজস্র প্রশংসা করিয়াছেন। এইরূপ প্ৰতিবাদে যে ফল হয়, তাহা সকলকেই স্বীকার করিতে হইবে । কার্জন বাহাদুর আপনাদের সত্যনিষ্ঠ সম্বন্ধে যতই বলুন না কেন, তঁহাদের প্রতীচ্য জগৎ সভ্যতার আলোক-দর্শনের পূর্বে এই প্ৰাচ্যদেশেই যাবতীয় নীতির প্রচার হইয়াছিল । গ্রীসীয় ও রোমক সভ্যতার পূৰ্ব্বে যে ভারতীয় সভ্যতা জগতে নীতির আলোক প্ৰকাশ করিয়াছিল, ইহা ঐতিহাসিক সত্য। তবে কেহ কেহ মিসরীয় সভ্যতাকে প্ৰাচীনতম বলিয়া থাকেন, কিন্তু সে বিষয়ে মতিসামঞ্জস্য নাই । তাহা হইলে ও মিসর প্রাচ্যের মধ্যে পড়িবে কি প্রতীচ্যের মধ্যে পড়িবে তাহাও আলোচনার বিষয় । এ সব বিষয়ে তর্ক বিতর্ক থাকিলেও অন্ততঃ লর্ড কার্জন বাহাদুরের স্বজাতিগণের বন্যভাব দুৱ হইবার পূর্বে এই ভারতবর্ষ হইতে “অশ্বমেধ সহস্রঞ্চ সত্যঞ্চ তুলিয়া ঘূতৎ, অশ্বমেধ সহস্রান্ধি সত্যমেব বিশেষ্যতে ” গীত হইয়াছিল।