পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র (প্রথম বর্ষ) - নিখিলনাথ রায়.pdf/৩৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জগৎ শেঠ ৷ ” ,૭૭ তাহার অপরিসীম স্নেহ বৰ্দ্ধিত হইতে থাকে। এই জন্য তিনি দুই জনকেই গদীর উত্তরাধিকারী মনোনীত করিয়া যান। ইহাদের মধ্যে মহাতাপচাদ বয়োজ্যেষ্ঠ হওয়ায় তিনি গদীর তত্ত্বাবধানে নিযুক্ত হন, স্বরূপচাঁদও র্তাহাকে যথারীতি সাহায্য করিতেন, দুই ভ্ৰাতায় মিলিত হইয়া গদীর উন্নতিসাধনে প্ৰাণপণে যত্ন করিতে আরম্ভ করেন। মুর্শিদাবাদের যে গদীকে স্কুতচাদ ভারতের বা জগতের মধ্যে অদ্বিতীয় করিয়াছিলেন, মহাতাপচাদ ও স্বরূপচাদ তাহাকে কেবল তদাবস্থায় রাখেন নাই। বরঞ্চ তাহার গৌরব বৃদ্ধির জন্য অশেষ প্রকার চেষ্টা আরম্ভ করিয়াছিলেন। তাহদের গদীর অপরিসীম শ্ৰীবৃদ্ধি দেখিয়া নবাব আলিবর্দি খ্যা অত্যন্ত আনন্দলাভ করিয়াছিলেন, এবং তঁহাদের যার পর নাই কাৰ্য্যতৎপরতা জানিয়া সময়ে সময়ে মহাতাপচাদের সহিত রাজকাৰ্য্যের পরামর্শও করিতেন । নবাব আলিবর্দি খাঁ অত্যন্ত ক্ষমতাশালী হইয়া সুচারুরূপে রাজ্যশাসনে মনোনিবেশ করিলেও তাঁহার রাজত্ব যেরূপ ঘোরতর অশান্তিপূর্ণ হইয়াছিল, তাহাতে তিনি তিলমাত্ৰ বিশ্রাম করিবার অবকাশ পাইতেন না । যদিও মহাতাপচাদ প্ৰভৃতির সুপরামর্শে তিনি দক্ষতাসহকারে রাজ্যশাসনে সক্ষম হইয়াছিলেন, তথাপি অন্তর্বিদ্রোহ ও বহিরাক্রমণে তিনি যারপর নাই উত্ত্যক্ত হইয়া উঠিয়াছিলেন। ভাস্কর পন্তের মৃত্যুর পর কিছুকাল মহারাষ্ট্রীয় আক্রমণ বঙ্গভূমিকে শান্তিলাভের অবকাশ দিলেও মুর্শিদাবাদের রাজসিংহাসনে সে শান্তি কল্যাণচ্ছায়া বিতরণ করিতে সক্ষম হয় নাই । মহারাষ্ট্রীয় আক্রমণের পর ভীষণ আফগান-বিদ্রোহ উপস্থিত হইয়া নবাব আলিবন্দি খাকে অত্যন্ত ব্যাকুল করিয়া তুলে। এই ভয়াবহ বিদ্রোহ বঙ্গদেশ পরিত্যাগ করিয়া বিহার প্রদেশেই ভীষণ আকার ধারণু করে। নবাবের প্রধান সেনাপতি মুস্তাফা খাঁ অসংখ্য আফগান সৈন্য সমবেত করিয়াছিলেন । তাহার অধীনে অনেক আফগান কৰ্ম্মচারী মহারাষ্ট্ৰীয় সমর প্রভৃতিতে অদ্ভুত বীরত্ব প্রদর্শন করিয়া ক্ৰমে ক্রমে ক্ষমতাশালী হইয়া উঠে। ক্ৰমে ক্ৰমে মুস্তাফা খাঁর ক্ষমতা প্রবল হয়। র্তাহার ক্ষমতা যেমন দিন দিন বৰ্দ্ধিত হইতে থাকে, তেমনি, তঁহার হৃদয়ে রাষ্ট্র্যপিপাসার SR 8