পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র (প্রথম বর্ষ) - নিখিলনাথ রায়.pdf/৪৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অম্বরের শিলাদেবী । २०० তখনি যাইব । একদিন রাজা পুজায় বসিয়াছিলেন, তাহার এক কন্যার রূপ। ধারণ করিয়া দেবী পূজাস্থানে আসিয়া বসিলেন। রাজা তাঁহাকে আপন কন্যাজ্ঞানে বলিলেন, “তুই যা, আমাকে পূজা করিতে দে, তুই যা৷” এইরূপ তিনবার বলিলে মাত বলিলেন, “তোমার ও আমার মধ্যে যে অঙ্গীকার ছিল, তাহা পূর্ণ হইল।” তখন রাজা বলিলেন, “আমাকে আপনি ছলনা করিলেন, আপনার যাহা অভিরুচি করুন,” পরে সমুদ্রমধ্যে নিক্ষেপ করিলেন। তখন দেবী মানসিংহকে সম্বোধন করিয়া কহিলেন, “আমাকে সমুদ্রমধ্যে নিক্ষেপ করিয়াছে, এখান হইতে আমাকে উঠাইয়া লণ্ড, আমি তোমার প্রতি প্ৰসন্ন হইয়াছি।” ইহার পর রাজা মানসিংহ কেদার রাজাকে হারাইয়াছিলেন । রাজা জাহাজে করিয়া পলাইলেন এবং দেওয়ানকে মানসিংহের নিকট পাঠাইলেন, দেওয়ান মানসিংহের সহিত সাক্ষাৎ করিলে পর মানসিংহ রাজা কেদারের কন্যা প্রার্থনা করিলেন। রাজা দিতে অঙ্গীকার করায় উভয়ের মিলন হইয়া গেল, এবং কেদার রাজা মানসিংহকে নজর করিলেন । মানসিংহ কহিলেন তোমার রাজ্য তোমায় দিলাম । কেদার রাজা সেলাম করিলেন। পরে মানসিংহ সমুদ্র হইতে মাতাকে উঠাইলেন এবং নিবেদন করিলেন, “মাতা। আপনি আজ্ঞা করুন, আমি সেই মত আপনার পূজা করিব।” তখন মাত কহিলেন, “যতদিন পৰ্যন্ত প্ৰত্যহ আমার নিকট বলিদান হঠাতে থাকিবে, ততদিন তোমার রাজ্য অটল থাকিবে । আর আমিও থাকিব । যে দিন হইতে নিত্য বলিদান বন্ধ হইবে, সেই দিন তোমার সহিত আমার অঙ্গীকার পূর্ণ হইবে।” রাজা ইহাই স্বীকার করিালেন, এবং মাতাকে লইয়া আসিলেন এবং বাঙ্গালী দিগকে ইহার পূজার ভার সমর্পণ করিলেন। অনন্তর, তথা হইতে কুচ করিয়া যাত্ৰা করিলেন । ,