পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র (প্রথম বর্ষ) - নিখিলনাথ রায়.pdf/৪৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“বংশাবলী” পুথির কিঞ্চিৎ পরিচয়” এই হন্ত লিখিত পুথির সঙ্কলয়িত কে, তাহা জানা যায় না। গ্রন্থের সুচনায় এইরূপ আছেঃ-“শ্ৰীগণেশায় নমঃ । শ্ৰীমাতাজী সদা সহায় । অথ কচ্ছবাহা কী বংশাবলী লিখতে ! দেহা ৷ গুরুগণপতি অরু সারদা ইনকো করি। প্ৰণাম কচ্ছবংস রাজা ভয়ে কহোস তিনকে নাম।” এইরূপ একটু সংক্ষিপ্ত মঙ্গলাচরণের পর রাজপুতদিগের “কচ্চাবহ” শাখার রাজগণের ধারাবাহিক বিবরণ আরব্ধ হইয়াছে । গ্রন্থের প্রারম্ভে বা উপসংহারে-কোন স্থানেই সঙ্কলয়িতার নাম, বা গ্ৰন্থসঙ্কলনের সময় উল্লিখিত হয় নাই। এই গ্রন্থের একখানি অবিকল নকল এবং মাড়ওয়ারী ভাষা (জয়পুৱী) সহজে বোধগম্য হয় না। বলিয়া ইহার একটা আধুনিক হিন্দু অনুবাদ, আমি ২/১ জন সন্ত্রান্ত ব্যক্তির অনুগ্রহে দেখিবার সুযোগ পাইয়াছি ফল কথা, এই গ্রন্থের জয়পুরী ভাষা এখনকার লোকের নিকট আদৌ দুবোধ্য নহে। ( এমন কি, আমি এখানে ৯ বৎসর থাকিয়া স্থানীয় চলিত জয়পুরী ভাষা যতটুকু শিখিয়াছি, তাহতেই ইহা মোটামুটি এক প্ৰকার সমস্তই বুঝিতে পারি। এবং গ্রন্থের উপসংহারে সম্বৎ ১৮৯১ সালে মহারাজা রামসিংহ রাজা হইলেন, এই সমাচারও ইহাতে লিখিত হইয়াছে। তাহা হইলে সম্ভবতঃ ঐ সময়ে ( ১৮৩৪ খৃষ্টাব্দে ) এই গ্ৰন্থ লিপিবদ্ধ হইয়াছে। অথবা ইহাও হইতে পারে যে বহুকাল হইতে এইরূপ ‘বংশাবলী” লেখা চলিয়া আসিতেছে, এবং যাহার র্যাহার নিকট এইরূপ ‘বংশাবলী’ আছে তাহারা সকলেই ঐ সকল “বংশাবলীতে” অধুনাতন ঘটনাবলি পৰ্যন্ত সন্নিবিষ্ট করিয়া আসিতেছেন। ফলতঃ যে “বংশাবলী”। খানি আমার দৃষ্টিগোচর হইয়াছে তাহার, ভাষা ও লিখন প্ৰণালী আধুনিক জয়পুৰী ভাষা হইতে কিছুই ভিন্ন নহে। এ বিষয়ে চারণবংশোদ্ভুত রামনাথ বারেট—যিনি হিন্দীভাষার “ইতিহাসরাজস্থান” নামক গ্ৰন্থ প্রণয়ন করিয়াছেন, তাহার গ্রন্থের ভূমিকায় জয়পুরের