পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র (প্রথম বর্ষ) - নিখিলনাথ রায়.pdf/৪৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 Co 峰 ঐতিহাসিক চিত্ৰ । হইতে তাহদের বোট ও বাইচের নৌকা ভঙ্গের বাবদ অভিযোগ উপস্থিত হইল, প্রমাণে জমিদার পরাস্ত হইলেন। সমবেত প্ৰজামণ্ডলীর কাতর ক্ৰন্দনে, ঘালেব আলিখা ও যশোবন্ত রায় ব্যথিত হইলেন, প্ৰজার বলিল যদি অতঃপর আর জমিদারের হস্তে তাহাদিগকে সমৰ্পণ করা হয়, তবে আর তাহদের মান সন্ত্রম রক্ষা পাইবার উপায় নাই। ইহার পর রাজাজ্ঞাও প্রচার হইল, অতঃপর যে কোন প্ৰজা জমিদারের অধীন হইতে আপন বিষয় সম্পত্তি নবাব সর কারের সেরেস্তায় নাম পত্তন করিবে তাঁহাদের সহিত জমিদারের আর কোন ংস্রব থাকিবে না । যেমন হুকুম প্রচার অমনি সাত শত আবেদনকারী আসিয়া স্ব স্ব জমা জোত সম্বন্ধে নবাব সেরেস্তায় নাম পত্তন করিয়া লইল । সেই দিন হইতে নয়পাড়ার রাজলক্ষ্মী চির অন্তহিত হইলেন, এ দিকে বিক্ৰী পুরের প্রজামণ্ডলীর স্বাধীনতা লাভের সহিত দিন দিন উন্নতি বৃদ্ধি হইতে লাগিল । আজ বিক্রমপুরের যে এতটা উন্নতি দেখা যায় তাহার প্রধান কারণ জমিদারের হস্ত হইতে নিস্কৃতি লাভ { দেওয়ান যশোবন্ত রায়ের রাম রাজ্যের ফল বিক্রমপুৱবাসিগণ অদ্যাপি সম্ভোগ করিয়া সেই মহাত্মার আত্মার চির কল্যাণ কামনায় কীৰ্ত্তিনাশার উভয় তীর হইতে সমভাবে ভগবানের নিকট প্রার্থনা করি তেছে । আর যে বীরগণের স্বাৰ্থত্যাগ ও উদ্যোগে এই দাসত্বের মোচন, র্তাহারা সমুদয় বিক্রমপুরবাসিগণের নিকট আদ্যাপি দেববৎ প্ৰতীয়মান হইতেছেন । অতঃপর আর কোন প্ৰবল পরাক্রান্ত বীরের বিবরণ ফরিদপুরের কোনস্থানে অনুসন্ধান করিয়া পাওয়া যায় না । তৎপর হইতে ক্ৰমে পরাক্রমের পরিবর্তে পদলেহনের পালা আরম্ভ, কিন্তু তথাপি একেবারে যে শক্তি সামর্থ্য হীন হইয় বঙ্গবাসীরা আধুনিক বাবুদের মত “তেড়ি, কোট, চসম, বুট”, অবলম্বনে বীরোচিত গণ্ডুষ পরিত্যাগ করিয়া বসিয়াছিল, তাহা ভাবিবার কথা নয় তৎসময়েও এমন সকল মহাপ্ৰাণ জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন, ग्रैश কোনরূপ উৎসাহ বা সাহায্য পাইলে অক্সানবদনে সমরানলে আপন জীবনাহতি প্ৰদান করিতে কিছুমাত্র কুষ্ঠিত হইতেন না । পরে যদিও রাজশক্তির প্রতিকুলে সাক্ষাৎসম্বন্ধে কাহাকেও পদক্ষে