পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র (প্রথম বর্ষ) - নিখিলনাথ রায়.pdf/৪৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বীর কাহিনী । 8 S করিতে দেখা যায় নাই, কিন্তু স্বাৰ্থসংরক্ষণের জন্য জমিদারে, জমিদারে ; প্ৰজায় জমিদারে ; এইকালে প্ৰায়ই মারামারি, কাটাকাটি হইত। “যার লাটি, তার মাটি,” এই কথা তৎসময় পৰ্যন্ত সাধারণের বীজমন্ত্র ছিল । ইংরাজাধিকারের প্রথম সময়ে এইরূপ একটী ভয়ানক দাঙ্গা বা যুদ্ধের বিবরণ প্ৰদান করা যাইতেছে, যাহাতে সহস্ৰ সহস্ৰ বীরপুরুষ স্বীয় স্বীয় শৌৰ্য্য প্ৰকাশ করিয়া সমরক্ষেত্রে জীবনদান করিতে কিছুমাত্র কুষ্ঠিত হয় নাই । মহারাজা রাজবল্লভ যে সকল জমিদারী তাহার জীবিতাবস্থায় অর্জন করিয়াছিলেন, তাহার অন্তিম সময় পৰ্যন্তও তাবৎ সম্যক নিষ্কণ্টক হয় নাই। বর্তমান মাদারিপুরের অন্তর্গত কাৰ্ত্তিকপুর পরগণার নাম তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য। কাৰ্ত্তিকপুৰ্ব্ববাসী মুসলমান জমিদারেরা বহুকাল পর্যন্ত ঐ পরগণা বেদখল রাখেন। পরে রাজা গোপালকৃষ্ণের সময়ে ঐ পরগণা হস্তগত করিবার জন্য বিপুল আয়োজন হয় । রাজপক্ষ হইতে দ্বি সহস্র সৈনিক কাৰ্ত্তিকপুরের দিকে অগ্রসর হয় ; এই সৈন্যগণ যথায় বিশ্রাম করিয়া প্ৰথম আক্রমণের পরামর্শ করে, তাহার নাম হয় “যুক্তিওলা ।” ঐ স্থানটী এখনও বৰ্ত্তমান আছে। শুষ্ঠামাই বাঘ নামক কায়স্থজাতীয় এক রাজকৰ্ম্মচারী এই দলের নেতা ছিল। এদিকে মুন্সীদের পক্ষেও প্ৰায় ঐ পরিমাণের লোক, রাজপক্ষকে বাধা প্ৰদান করিতে প্ৰস্তুত ዓቨCቕ ] ar রাজপক্ষীয়েরা ক্ৰমে অগ্রসর হইয়া কাৰ্ত্তিকপুর বেষ্টন করিয়া ফেলিল ; এই সময়ে মুন্সী ইমামদীন কাৰ্ত্তিকপুরের জমিদার ছিলেন। মুন্সী তৎপক্ষীয় সৈন্যগণকে রাজপক্ষীয়দিগকে আক্রমণ করিতে আজ্ঞাপ্ৰদান করেন, তাহারা বলে অদ্য, দিন ভাল নয়, যুদ্ধে প্ৰবৃত্ত হইলে আমাদের পরাজয় সুনিশ্চয়, কিন্তু মুন্সী সাহেব তাহা কোনমতেই মানিলেন না, তদন্তংশীয় একটী বীরলালন এই সময় উপস্থিত হইয়া, সৈন্যাধ্যক্ষকে যথোচিত কটুবাক্য বলিতে লাগিল, তাহাদের আর সহ্য হইল না ; তাহারা এই বলিয়া বিদায়গ্ৰহণ করিল, হয়ত আদ্য রাজসৈন্য সম্যক হত করিয়া তোমাদের সহিত সাক্ষাৎ করিব, ”অন্যথায়