পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র (প্রথম বর্ষ) - নিখিলনাথ রায়.pdf/৪৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

86V ঐতিহাসিক চিত্ৰ । 芷 পরে দেশে প্রত্যাগমন করেন। তঁহার যৎসামান্য ভূসম্পত্তি ছিল, • তাহা পদ্মা কর্তৃক ভগ্ন হইয়া তৎসঙ্গে লীন হয়। ওয়াহেবি সম্প্রদায়ের সহিত বহু কাল পৰ্য্যন্ত একত্র বাস করিয়া তাহদের রীতিনীতি শিক্ষার ফল ও তদ্ধৰ্ম্ম দেশ মধ্যে প্রচার এবং সুন্নত ও বিবাহাদির ব্যয় সংক্ষেপ ভাবে সম্পাদন করার জন্য উপদেশ দান করিয়া অনেক মুসলমানকে স্বধৰ্ম্মে দীক্ষিত করেন। হাজি সাহেবের মৃত্যুর পর তৎ সম্প্রদায়ী লোকেরা তাহার পুত্র দুধুমিয়াকে দলের নেতৃত্বপদ প্ৰদান করিয়া ক্ৰমে তিনি একটী সম্পত্তি ক্ৰয় করায় তজ্জন্য তাহাকে সময় সময় নানারূপ দাঙ্গা , হাঙ্গামাতে জড়িত হইতে হইত । পাচবরের সেন বাবুদের সহিত এই সময়ে তাহার ভয়ানক দাঙ্গা হয়। এতদ্ভিন্ন আরও কয়েকটী ঘটনায় লুঠ, হত্যা প্ৰভৃতি সম্বন্ধীয় মকৰ্দমায় তাহার কারাদণ্ডের আদেশ হয় । এই বৎসর ১৮৫৭ খৃষ্টাব্দের ভীষণ বিদ্রোহের সময়, গবর্ণমেণ্টের বিবেচনায় তাহার মত ক্ষমতাশালী লোককে মফস্বল রাখা নিরাপদ সম্ভব নয় বলিয়া কলিকাতায় আবদ্ধ রাখা হয় । বিদ্রোহ অবসান পৰ্য্যন্ত তঁহাকে তথায় থাকিতে হইয়াছিল, পরে মুক্তিলাভ করেন । আবার তাহার বিরুদ্ধে নানারূপ অত্যাচারের মকৰ্দমা উপস্থিত হওয়ায়, তাহার কারাদেশ হয়, পরে তিনি মুক্তি লাভ করিয়া দেশ পরিত্যাগ করিয়া ঢাকা চলিয়া যান। ১৮৬১ খৃষ্টাব্দে তথায় তাহার মৃত্যু হয় { এস্থলে তাহার সময়ের একটি ভীষণ হত্যার ঘটনা নিয়ে উল্লেখ করা যাইতেছে । তৎসময়ে মিঃ ডুলাহস পূৰ্ব্ব বঙ্গের নানা স্থানে কুঠী সংস্থাপন করিয়া, নীলের দাদনে প্ৰজাকুলকে আকুল করিয়া তুলেন। র্তাহার কুঠার দেওয়ান কালীপ্রসাদ কাজীলাল মুনফৎগঞ্জ থানার অন্তর্গত কুঠী সমূহের তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন। ‘কালীপ্রসাদ, প্ৰজা ও ফরাজী সম্প্রদায়ের প্রতি বড়ই অত্যাচার করিতেন। এজন্য সমুদয় প্রজা ও ফরাজী একত্রিত হইয়া তাঁহাকে ধৃত করিয়া অমানুষিক অত্যাচার করে। জানা যায় ২ তাহাকে এইরূপ অবস্থায় নৌকাযোগ ৰাখরগঞ্জের অন্তর্গত কাসকাষ্ঠীর দক্ষিণাংশে সমুদ্রের নিকট യു --