পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র (প্রথম বর্ষ) - নিখিলনাথ রায়.pdf/৫৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজা বুদ্ধিমন্ত খাঁ চৌধুরী। হেঙ্কনের কৃত আবাদই বৰ্ত্তমানে “ডেমারাইলের আবাদ” নামে খ্যাত। এই আবাদের অন্তর্গত উস্কা অঞ্চলে প্ৰকাণ্ড প্ৰকাণ্ড ইষ্টকস্তােপ, ভু প্রোথিত মন্দির, জলাশয়, কৃপ, রাজপথ ও গড় প্রভৃতি বহুতর প্রাচীন কীৰ্ত্তির ভগ্নাবশেষ আবিষ্কৃত হইয়াছে। স্থানীয় জনপ্ৰবাদ ও কিম্বদন্তীসমূহ এ গুলিকে রাজা বুদ্ধিমন্ত খাঁ চৌধুরির রাজ্য ও রাজধানীর ভগ্নাবশেষ বলিয়া নির্দেশ করিতেছে । রাজা বুদ্ধিমন্ত নবশাখের অঙ্গীভূত বারুজীবিজাতীয় ও দত্তবংশোদ্ভব ছিলেন। কথিত আছে ইনি বঙ্গের তদানীন্তন মুসলমান শাসনকৰ্ত্তার অধীনে সৈনিক বিভাগে কাজ করিতেন। কোন একটী বিশেষ যুদ্ধে জয়লাভ করায় নবাব ইহার উপর যৎপরোনাস্তি সন্তুষ্ট হইয়া ইহাকে ’খা চৌধুরি” উপাধি সহ একটী বিশাল জায়গীর প্রদান করেন। নবাব প্রদত্ত উপাধি ও জায়গীর প্রাপ্ত হইয়া বুদ্ধিমন্ত যমুনাতীরে রাজধানী স্থাপনান্তর তথায় আসিয়া বাস করিতে লাগিলেন। রাজা বুদ্ধিমন্ত কোন সময়ে প্রাদুর্ভূত হইয়াছিলেন এবং কত দিনই বা রাজত্ব করিয়াছিলেন বহু অনুসন্ধানেও আমরা তাহা নির্ণয় করিতে সমর্থ হই নাই, তবে তিনি যে একজন ধাৰ্ম্মিক, ভগবদ্ভক্ত ও বিশাল রাজ্যের মহা প্ৰতাপশালী অধীশ্বর ছিলেন, আবিস্কৃত ভগ্নাবশেষ এবং প্ৰাচীন জন প্ৰবাদ উভয়েই অবিসংবাদে তাহা প্ৰমাণ করিতেছে। রাজা বুদ্ধিমন্তের সর্বপ্রথান কীৰ্ত্তি র্তাহার নিৰ্ম্মিত “নবরত্ন বিষ্ণু মন্দির।” নবরত্ন আগা গোড়া ইষ্টক নিৰ্ম্মিত ও দক্ষিণ দ্বারী। ক্ষীণ স্রোতা স্বচ্ছ সলিলা যমুনা নদী ইহার পশ্চিম প্রান্ত বিধৌত করিয়া কুলু কুলু রবে সাগরাভিমুখে প্রবাহিত হইতেছে। মন্দিরটীি উচ্চতায় ৯০, দৈর্ঘে ৩০, এবং প্রস্তে ২৯ হাত হইবে। সন্মুখে দরজার উপরিভাগে দেওয়ালের গায়, দক্ষিণে গরুড়ের মস্তকোপরি কৃষ্ণ বলরামের প্রতিমূৰ্ত্তি ও বামে নারদের প্রতিমূৰ্ত্তি খোদিত আছে। প্ৰতিমূৰ্ত্তি গুলির উপরে, ভূমি হইতে নুনাধিক ৪০ হাত উৰ্দ্ধে একখানি প্রস্তর ফলকে প্রাচীন বাঙ্গলা অক্ষরে নিম্নোদৃত সংস্কৃত শ্লোক ও অঙ্কাব্দ লিখিত আছে :- ?