পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র (প্রথম বর্ষ) - নিখিলনাথ রায়.pdf/৫৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজা বুদ্ধিমন্ত খ্যা চৌধুরী। SS এবং অতি সত্বর এক সুদৃশ্য বিষ্ণুমন্দির। নিৰ্ম্মাণ করিয়া তাহাতে বিষ্ণুর চতুভুজ মূৰ্ত্তি স্থাপন করণান্তর রথযাত্ৰা উপলক্ষে উৎসব করিতে লাগিলেন। ভগবানও নিজ প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সে বিগ্রহে অধিষ্ঠিত হইয়া ভক্তের মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করিলেন । * বুদ্ধিমন্তের প্রতিষ্ঠিত সেই বিগ্ৰহটী এখন चैत्र नदबद्ध मनि्द्र नाई। সুন্দরবন আবাদ সময়ে মন্দির আবিষ্কৃত হইলে স্বপ্নযোগে বিষ্ণু কর্তৃক প্রত্যাদিষ্ট হইয়৷ টাকী নিবাসী স্বৰ্গীয় গোবিন্দ রাম রায় চৌধুরী মহাশয় ঐ বিগ্ৰহটী নিজ গৃহে লইয়া গিয়াছিলেন। আবাদ হইতে বিগ্ৰহটী লইয়া আসিবার সময় আঘাত লাগিয়া বিগ্রহের কোন অঙ্গহানি হইয়াছিল। শাস্ত্ৰ বিরুদ্ধ বলিয়া গোবিন্দ রাম এইরূপ অঙ্গহীন বিগ্ৰহ প্ৰতিষ্ঠায় ইতস্ততঃ করিতেছিলেন। এমন সময় তিনি রজনীযোগে স্বপ্নাদিষ্ট হইলেন যে, “পুত্রাদির অঙ্গহানি হইলে পিতা যেমন তাহাকে পরিত্যাগ করেন না, তুমিও আমাকে পুলস্থানীয় জ্ঞান করতঃ আমার প্রতিষ্ঠা ও সেবার ব্যবস্থা করিয়া দাও, ইহাতে তোমার মঙ্গল হইবে।” এইরূপ প্ৰত্যাদিষ্ট হইয়া চৌধুরী মহাশয় বিশেষ যত্ন ও ভক্তি সহকারে h সমারোহে বিগ্ৰহটীকে পুনঃ প্ৰতিষ্ঠিত করতঃ উহার উপযুক্ত সেবার বন্দোবস্ত করিয়া দিয়াছিলেন। বর্তমানে গোবিন্দ রামের বংশধরগণই বিগ্রহের সেবা ও তত্ত্বাবধান করিতেছেন। বিষ্ণু মন্দিরের ১ মাইল উত্তরে বাকড়া নামক গ্রামে মাটীর নীচে আর মুকুটী মন্দির আবিষ্কৃত হইয়াছে। ইহা একটী শিব মন্দির। মন্দিরের ভিতর ৮ হাত মাটীর নীচে কষ্টি পাথর নিৰ্ম্মিত একটীি বৃহৎ শিব লিঙ্গ পাওয়া গিয়াছে। কত যুগ যুগান্তর, ধরিয়া লিঙ্গ মূৰ্ত্তিটী এই ভাবে মাটীর নীচে পড়িয়া আছে ; কিন্তু বিস্ময়ের বিষয় যে, উহা এখনও এত সুন্দর ও সমুজ্জল রহিয়াছে যে, দেখিলেই সদ্য নিৰ্ম্মিত বলিয়া প্ৰতীতি জন্মে। জন প্ৰবাদ এ মন্দির ও মন্দিরাভ্যন্তরস্থ বিগ্রহকেও রাজা বুদ্ধিমন্তের অন্যতম কীৰ্ত্তি বলিয়া নির্দেশ করিতেছে ।