পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র (প্রথম বর্ষ) - নিখিলনাথ রায়.pdf/৫৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

চচ ও আরবীয়দিগের সিন্ধু অধিকার।

 দিওয়াইজের পুত্ত্র সিহারসের রাজত্বকালে সিন্ধুদেশের রাজধানী আলোর অত্যন্ত সমৃদ্ধিশালী নগরী ছিল। সিহারস প্রবল প্রতাপশালী নরপতি ছিলেন। তাঁহার প্রজাবৃন্দের মধ্যে এক ব্যক্তিও তাঁহার প্রতি অসন্তুষ্ট ছিল না। এই সময়ে পারস্যদেশ হইতে নিমরজাধিপতি তাঁহার রাজ্য আক্রমণ করেন। দুই পক্ষে তুমুল যুদ্ধ হয়। সিহারসের সৈন্যগণ পলায়ন করে; কিন্তু সিহারস সম্মুখ যুদ্ধে নিহত হন। পারসীকগণ লুণ্ঠনাদি করিয়া স্বদেশে ফিরিয়া যায়। সিহারসের পুত্ত্র রায় সাহসী সিংহাসনে আরোহণ করেন।

 এই সময়ে শিলাইজের পুত্ত্র চচ নামক এক ব্রাহ্মণ মালিক সাহসী রায়ের প্রধান সচিবের পদে নিযুক্ত হন। রাণী চচের প্রতি আকৃষ্ট হন এবং সাহসী রায়ের মৃত্যু হইলে চচ সিংহাসন অধিকার করিয়া বসিলেন। পরে রাণী সুভান দেওর সহিত তাঁহার বিবাহ হয়। চচ তাহার ভ্রাতা চন্দরকে আনাইয়া তাহাকে তাঁহার সহকারী পদে নিযুক্ত করিয়া আলোরে প্রতিষ্ঠিত করেন।

 চচ বঙ্গদেশ জয় করিয়াছিলেন। জাপুর রাজকে যুদ্ধে নিহত করেন। সিক্কা, মুলতান প্রভৃতি জয় করিয়া কাশ্মীরের সীমান্ত পর্য্যন্ত সসৈন্যে গমন করেন। কাশ্মীররাজের সহিত তাঁহার রাজ্যের সীমা নির্দ্দেশ কার্য্য শেষ করিয়া আলোরে প্রত্যাবৃত্ত হন। চচ অনেক দিন স্বরাজ্যে না থাকায় অনেক করদ রাজগণ তাঁহাকে আর কর দিবেন না এইরূপ স্থির করিয়াছিলেন কিন্তু চচ কাশ্মীর হইতে ফিরিয়া এইরূপ ভাব দেখিয়া বুদাপুর ও শিওয়িস্তানের দিকে যাত্রা করিলেন। বুধপুরের অধিপতি কোটাল বিন ভাণ্ডারগু ভাগুর