পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র (প্রথম বর্ষ) - নিখিলনাথ রায়.pdf/৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাবুলরাজ রত্নপাল । V9) করিয়া দেন।. এ কথা মুসল্মান লেখকগণ অকপটে স্বীকার করিয়া গিয়াছেন। তাহার পর অনেক বার কাবুলের বক্ষে মুসল্মান বীরগণের শাণিত কৃপাণ ঝলসিত হইয়াছিল। কিন্তু তঁাহারা কাবুলজিয়ে সম্পূর্ণরূপে কৃতকাৰ্য্য হইতে পারেন নাই। ইহার নিকটস্থ সিস্তান প্রভৃতি স্থান তাহদের করায়ত্ত হইলেও খৃষ্টীয় দশম শতাব্দীর পূৰ্ব্বে সমগ্ৰ আফগানিস্থান মুসন্মান কর্তৃক অধিকৃত হয় নাই। খৃষ্টীয় দশম শতাব্দীতে তুর্ক সবক্তগীন কাবুল অধিকার করিয়া গজনীতে আপনার রাজধানী স্থাপন করেন। তদবধি কাবুলে হিন্দুরাজত্বের লোপ হয় । খৃষ্টীয় সপ্তম শতাব্দীর শেষভাগে কাবুলে রত্নপাল নামে রাজা রাজত্ব করি, তেন। তিনি অত্যন্ত চতুর ও ক্ষমতাশালী রাজা বলিয়া কীৰ্ত্তিত হইয়া থাকেন। এই রত্নপাল কোন বংশসস্তুত তাহা জানিবার কোনই উপায় নাই। ভারতবর্ষের রাজপুতানা বা কান্যকুজের রাজগণের সহিত ইহার কোন রূপ সম্বন্ধ ছিল কিনা তাহাও জানা যায় না। যৎকালে রত্নপাল কাবুলের শাসনদণ্ড পরিচালন করিতেন, সেই সময়ে মুসন্মানগণ একবার তাহা অধিকারের জন্য সচেষ্ট হইয়াছিলেন। তৎকালে রক্তপিপাসু হজাজ আবদুল্লা নামে সিস্তানের শাসনকৰ্ত্তাকে কাবুলবিজয়ে প্রেরণ করেন। ইতিপূর্বে কাবুল আর একবার আক্রান্ত হইয়াছিল, এবং কাবুলের রাজা মুসল্মানদিগকে কর দিতে স্বীকৃতও হইয়াছিলেন। কিন্তু অনেক দিন হইতে হজাজের নিকট কর উপস্থিত নু হওয়ায় তিনি কাবুলরাজের প্রতি মহাব্ৰুদ্ধ হইয়া উঠেন, এবং কাবুলকে একেবারে স্বরাজ্যভুক্ত করিতে ইচ্ছক হন। আবদুল্লা দুৰ্দ্ধৰ্ষ আরব সৈন্য লইয়া কাবুলে উপস্থিত হইলে, রত্নপাল তঁাহার সম্মুখ হইতে দুরে প্রস্থান করিয়া কৌশলক্রমে সমস্ত পাৰ্ব্বত্য রন্ধ পথ অবরোধ করিয়া বসেন, এবং পর্বতশৃঙ্গ হইতে প্ৰস্তরখণ্ড ও অস্ত্রনিক্ষেপে আরববাহিনীকে । যৎপরোনাস্তি উদ্বেজিত করিয়া তুলেন। এই রূপে বিপদগ্ৰস্ত হইয়া আবদুল্লা কিংকৰ্ত্তব্যবিমূঢ় হইয়া পড়েন। তাঁহার চারিদিকের পথ অবরুদ্ধ, অগ্রসর বা । প্রত্যাবৰ্ত্তন কিছুরই উপায় নাই, কারণ সম্মুখ পশ্চাৎ সকল দিকের পথ রত্নপাল