পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র (প্রথম বর্ষ) - নিখিলনাথ রায়.pdf/৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জগৎশেঠ । Sa 蜘 তুলিয়াছিল। এই জন্য উত্তরপশ্চিম প্রদেশ, নেপাল ও বাঙ্গালার বাণিজ্যের সহিত চিরদিন হইতে ইহার গাঢ় সম্বন্ধ ছিল। সপ্তদশ শতাব্দীতে ইহার ব্যবসায়বাণিজ্য উন্নতির সর্বোচ্চ শিখরে আরোহণ করে। তুলা, সর্ষপ, এরণ্ড, নীল, লবণ প্রভৃতির বাণিজ্যের জন্য ইহা চিরবিখ্যাত । হীরানন্দ ব্যবসায়বাণিজ্যে সর্বদা কোলাহলময় পাটনা নগরীতে উপস্থিত হইয়া নিজ ভাগ্যোদার জন্য যত্নবান হইলেন । পাটনা বাণিজ্যের প্রধান স্থান হওয়ায় তথায় অনেক মহাজনের গদী সংস্থাপিত ছিল ; ব্যবসায়িগণ সেই সমস্ত গাদী হইতে প্ৰয়োজনানুসারে অর্থ গ্ৰহণ করিতেন । র্যাহারা গদীয়ানের কাৰ্য্য করিতেন, অল্প সময়ের মধ্যে র্তাহারা বিপুল সম্পত্তির অধীশ্বর হইতেন। কোন গদীর সহিত সম্বন্ধ স্থাপন করিতে পারিলে অল্প দিনের মধ্যে ভাগ্যলক্ষ্মীর অনুগ্রহ লাভ হইবে বিবেচনা করিয়া হীরানন্দ সেই চেষ্টায় প্ৰবৃত্ত হইলেন। কিন্তু প্ৰথমতঃ ভাগ্যলক্ষ্মী তাহার প্রতি প্ৰসন্না হইলেন না ! তিনি যে গদীয়ানের নিকট পরিচিত হইতে যান, তিনি তঁহাকে নবাগত দেখিয়া তাহার প্রতি তাদৃশ বিশ্বাস স্থাপন করিতে অনিচ্ছুক হন। এইরূপে কোন গদীয়ানের নিকট পরিচিত হইতে না, পারিয়া তিনি যৎপরোনাস্তি মনঃকষ্ট দগ্ধ হইতে লাগিলেন। তিনি তঁহার সুদূর জন্মভূমি মারবার পরিত্যাগ করিয়া ভাগ্যোদয়ের জন্য কত কষ্ট সহ করিয়া পাটনায় উপস্থিত হইলেন, কিন্তু ভাগ্যলক্ষ্মীর বিন্দুমাত্রও করুণা তাহার উপর নিপতিত হইল না। এই রূপ হতাশ অন্তঃকরণে র্তাহাকে সময় অতিবাহিত করিতে বাধ্য হইতে হইল। এক দিন বিষগ্নচিত্তে তিনি নগরের বাহিরে ভ্ৰমণ করিতে প্ৰবৃত্ত হন। কিয়দুর যাইতে যাইতে তিনি একটি নিবিড় বনমধ্যে প্রবিষ্ট হইয়া। পড়েন। তঁহার অন্তঃকরণ এত দূর চিন্তাকুল ছিল যে, তিনি বুঝিতে পারেন। নাই যে, তিনি একটি নিবিড় জঙ্গলমধ্যে প্রবিষ্ট হইয়া পড়িয়াছেন। তখন সন্ধ্যা হইয়া আসিয়াছে, চন্দ্ৰালোকের স্নিগ্ধ জ্যোতিঃতে শু্যামল বৃক্ষরাজি হাস্য করিতেছিল, পাখীগুলি পাখার শব্দ করিতে করিতে বৃক্ষশাখায় আশ্রয় লইতেছিল, ক্ৰমে ঝিল্লীরবে অরণ্যানী ঈষৎ মুখরিত হইয়া উঠিল। প্ৰকৃতির। সেই মনোহারিণী শোভ%থিতে দেখিতে হীরানন্দ ক্রমে অরণ্যের বহুদূরে আসিয়া خصائصحسصبسطسد--