পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র (প্রথম বর্ষ) - নিখিলনাথ রায়.pdf/৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SRo ঐতিহাসিক চিত্ৰ । পড়িলেন। সহসা এক র্যাতনাব্যঞ্জক আৰ্ত্তনাদ তঁহার কর্ণকুহরে। প্ৰবিষ্ট হইল, , সেই শব্দ শুনিবা মাত্র তাহার চমক ভাঙ্গিয়া গেল। কোথা হইতে সেই শব্দ আসিতেছে, তাহাই জানিবার জন্য তিনি ব্যগ্ৰ হইয়া পড়িলেন। ক্ৰমে ক্ৰমে সেই শব্দের দিঙনিৰ্ণয় করিয়া তিনি তাহার অনুসরণে প্ৰবৃত্ত হইলেন। যে স্থান হইতে শব্দ আসিতেছিল, অনুসন্ধানের পর তিনি সেই স্থানের আবিষ্কারে সমর্থ হইলেন। দেখিলেন, তাহা একটি ভগ্ন অট্টালিকা ; সেই ভগ্ন অট্টালিকার মধ্যে প্ৰবেশ করিয়া তিনি দেখিতে পাইলেন, তাহার কোন প্রকোষ্ঠে একটি মুমূর্ষু বৃদ্ধ যন্ত্রণায় আৰ্ত্তনাদ করিতেছে। হীরানন্দ বৃদ্ধের সেই অবস্থা দেখিয়া আর স্থির থাকিতে পারিলেন না, তিনি তৎক্ষণাৎ তাহার সেবায় প্ৰবৃত্ত হইলেন। তাহার শুশ্ৰষায় বৃদ্ধের যন্ত্রণার কিছু উপশম হইল বটে, কিন্তু তাহার জীবনদীপ ক্রমশঃ নির্বাণোন্মুখ হইয়া আসিল। হীরানন্দ শত চেষ্টা করিয়াও তাহাকে সেই মহাযাত্ৰ হইতে ফিরাইতে পারিলেন না, অল্পক্ষণের মধ্যে বৃদ্ধ চিরদিনের জন্য চক্ষুঃ মুদিত করিল। মরিবার অব্যবহিত পূর্বে বৃদ্ধ হীরানন্দকে সঙ্কেত করিয়া গৃহের এক কোণে অঙ্গুলি নির্দেশ করিয়া যায়। হীরানন্দের সেবায় তুষ্ট হইয়া প্রত্যুপকারস্বরূপ যেন বৃদ্ধ ঐ রূপ করিয়াছিল বলিয়া বোধ হয়। হীরানন্দ একাকী যথাসাধ্য বৃদ্ধের সৎকার করিয়া পরে গৃহের সেই কোণদেশখননে প্ৰবৃত্ত হইলেন, খনন করিতে করিতে বুঝিতে পারিলেন যে, বৃদ্ধ তাহাকে অপূরিমিত ধনের অধিকারী করিয়া গিয়াছে। যতই খনন করেন ততই, তঁহার হৃদয় উৎফুল্প হইয় উঠে। অবশেষে তিনি সেই সমস্ত অর্থ হস্তগত করিয়া মনে মনে ভাগ্যলক্ষ্মীকে কোটী কোটী প্ৰণাম করিতে লাগিলেন। সেই বিপুল অৰ্থ রাশি লইয়া হীরানন্দ পাটনায় একটি গদী স্থাপিত করিলেন। এক্ষণে তিনি অন্যান্য গদীয়ানদিগকে আর গণনার মধ্যে আনিতে চাহিলেন না । তিনি অন্যান্য গদীয়ান অপেক্ষা কিছু অল্প সুদে অর্থ প্ৰদান করিতে আরম্ভ করিলেন, ক্ৰমে সমস্ত ব্যবসায়িগণই তাহার গদীর কথা অবগত হইল, এবং বহুলোকে তাহারই গাদী হইতে প্ৰয়োজনানুসারে অর্থ গ্ৰহণ করিতে লাগিল, অল্প দিনের মধ্যে গদীয়ানের কাৰ্য্য করিয়া তিনি বিপুল সম্পত্তির অধীশ্বর হইলেন। অর্থ