পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র (প্রথম বর্ষ) - নিখিলনাথ রায়.pdf/৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R ঐতিহাসিক চিত্ৰ । বৃন্দের নিকট ঐতিহাসিক কথা প্রচারের জন্য “ঐতিহাসিক চিত্রের” অবতারণা। ঐতিহাসিক চিত্ৰ কেবল নানা স্থান হইতে ঐতিহাসিক তথ্য সংগ্ৰহ করিয়া, সাধারণের নিকট উপস্থাপিত করিবে। কয়েক বর্ষ পূৰ্ব্বে ঐতিহাসিক চিত্ৰ যোগ্যতার ব্যক্তি কর্তৃক সম্পাদিত হইয়া বিভিন্ন আকারে প্রকাশিত হইয়াছিল, অর্থাৎ সে ঐতিহাসিক চিত্ৰ প্ৰধানতঃ স্বাধীন অনুসন্ধান ও আলোচনার ফলপ্ৰদৰ্শীরূপে আবিভূতি হইয়াছিল। কিন্তু তখনও পৰ্য্যন্ত ইতিহাস সাধারণের পক্ষে আদরের সামগ্ৰী হইয়া উঠে নাই। বিশেষতঃ সেরূপ অনুসন্ধান ও আলোচনার ফলপাঠকের সংখ্যা স্বল্প হওয়ায় অচিরেই তাহার অন্তর্ধন ঘটিয়াছিল। বৰ্ত্তমান ঐতিহাসিক চিত্ৰ নানা স্থানের ও নানা প্রকারের ঐতিহাসিক তথ্য সংগ্ৰহ করিয়া সাধারণের মনোরঞ্জনের প্রয়াস পাইবে । পুৰ্ব্বতন চিত্রের সহিত বর্তমান চিত্রের পার্থক্য থাকিলেও চিত্রের ভূতপূৰ্ব্ব সম্পাদকমহাশয়ের অনুমন্ত্যনুসারে বর্তমান পত্ৰ “ঐতিহাসিক চিত্ৰ’ নাম ধারণ করিয়াই আবিভূতি হইল। এই নামগ্রহণের জন্য আমরা চিত্রের ভূতপূৰ্ব্ব সম্পাদকমহাশয়ের নিকট আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্ৰকাশ করিতেছি। এক্ষণে সাধারণের বিশেষতঃ ছাত্ৰগণের ইহার প্রতি স্নেহদৃষ্টি পতিত হইলে ইহার অস্তিত্ব সম্বন্ধে আশা করা যাইতে পারে। বৰ্ত্তমান বর্ষের বৈশাখের “সাহিত্যে” তাহার সুযোগ্য সুধী সম্পাদকমহাশয় লিখিয়াছেন, “প্রচারের সুচনায় বঙ্কিম বাবু লিখিয়াছিলেন, “জাহাজ সব স্থানে চলে না, ডিঙ্গী সব স্থানে চলে।’ আজ সেই কথা মনে পড়িতেছে। আমাদের দুর্ভাগ্যবশতঃ চড়ায় ঠেকিয়া অক্ষয় বাবুর ঐতিহাসিক চিত্ৰ জাহাজ বানচাল হইয়া গিয়াছে। বঙ্কিম বাবুর ভাষায় বলি,--নিখিল বাবুর নূতন ঐতিহাসিক চিত্র “ডিঙ্গী এ হাঁটু । জলেও নির্বিঘ্নে ভাসিয়া যাইবে ভরসা আছে।” এক্ষণে এই ঐতিহাসিক চিত্ৰ । ডিঙ্গি ভাসমান হওয়ার পক্ষে সাধারণের অনুগ্রহ সম্পূর্ণরূপে নির্ভর করিতেছে। এই ডিঙ্গী প্রধানতঃ ভারতীয় ও বঙ্গদেশীয় পণ্য লইয়া ভাসমান হইবে,কিন্তু সময়ে সময়ে বিদেশীয় পণ্য আনিতেও চেষ্টা করিবে। জাতীয় ইতিহাস-আলোচনা ইহার মুখ্য উদ্দেশ্য থাকিলেও, জগতের উন্নতিশীল জাতিগণের ইতিহাসও প্রকটত করিতে ঐতিহাসিক চিত্র চেষ্টা করিবে। কারণ কেবল স্বদেশীয় নহে,