পাতা:কপালকুণ্ডলা বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপত্নীসন্তাষে । >>(t সৰ্ব্বত্র মার্নসলোচনে দেখিলেন—কোথা ও কাছাকে দেখিতে পgষ্টলেন না ; অন্তঃকরণ মধ্যে দৃষ্টি করিয়া দেখিলেন—তথtয় ত নবকুমারকে দেখিতে পাইলেন না, তবে কেন লুৎফউন্নিসার মুখের পথ রোধ করিবেল ? লুৎফ-উন্নিসাকে কহিলেন, o “ তুমি যে আমার উপকার করিয়tছ কি ন তাহ। আমি এখন বুলিতে পারিতেছি না। অট্টালিকা, ধন সম্পত্তি, দাস দাসীরও প্রয়োজন নাই । আমি তোম’ব সুখের পথ কেন রোধ করিব ? তোমার মানস সিদ্ধ হউক—কালি হইতে বিঘ্নকারিণীর কোন সম্বাদ পাইবে না ।” লুৎফ-উন্নিসা চমৎকৃত হইলেন, এরূপ অণ্ড স্বীকারের কোন প্রত্যাশ করে নাই । মোহিত হুইয়া কছিলেন, “ ভগিনি—তুমি চিরায়ুষ্মতী হও ! আমার জীবন দান করিলে । কিন্তু আমি তোমাকে অনাথিনী হইয়া যাইতে দিব না । কল্য প্রাতে তোমার নিকট আমার এক জন বিশ্বাসযোগ্য চতুরা দাস পাঠাইব । ভtহার সঙ্গে যাইও । বৰ্দ্ধমানে কোন অতি প্রধান স্ত্রীলোক BBBB BBBS SBBB BBBB BBB MBBBBD BB BBBB E ংফ-উন্নিস এবং কপালকুণ্ডল এরূপে মনঃসংযোগ করিয়া কথাবাৰ্ত্ত কহিতেছিলেন, যে সম্মুখ বিঘ্ন কিছুই দেখিতে পায়েম নাই । যে বন্য পথ ভঁtহtfদগের আশ্রয়স্থান হইতে বাহির হইয়াছিল, সে পথ প্রান্তে দাড়াইয়া কাপালিক ও নবকুমার উiহাদিগের প্রতি যে করলে দৃষ্টিপাত করিতেছিলেন, তাহা কিছুই দেখিতে পায়েন নাই । নবকুমার ও কাথলিক ই হাদিগের প্রতি দৃষ্টি করিয়াছিলেন মাত্র, কিন্তু দুৰ্ভৰ্শগ্যবশতঃ তত দূর হইতে তাহাদিগের কথোপকথমের মধ্য কিছুইক্ষুদ্ধ ভয়ের শ্ৰুতিগোচর ছইল না । মনুষ্যেৰ চক্ষুঃ কৰ্ণ যদি সমদূরগামী হুইত, তবে মনুষের দু:খশ্রোত শমিত কি বৰ্দ্ধিত হইত ভাই। কে বলিৰে লোকে বলিয়। পাকে সংসাররচনা অপূর্ব কৌশলময়।