পাতা:কপালকুণ্ডলা বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্তুপশিখরে { :ا لاSز নৰকুমার চলিলেন । আলোকের নিকটবৰ্ত্তী হইয়। দেখিলেন, ষে এক অত্যুচ্চ বালুকাস্ত,পের শিরোভাগে অগ্নি জ্বলিতেছে, তৎপ্রভায় শিখরাসীন মনুষ্যমূর্তি আকাশপটস্থ চিত্রের নশয় দেখা যাইতেছে । নবকুমার শিখরাসীন মনুষের সমীপবর্তী হইবেন স্থিরসস্কপ করিয়া, অশিথিলীঙ্কত বেগে চলিলেন । পরিশেষে স্ত,পারোহণ করিতে লাগিলেন । তখন কিঞ্চিৎ শঙ্কণ হইতে লাগিল,—তথাপি অকম্পিত পদে স্ত পারোহণ করিতে লাগিলেন। আসীন ব্যক্তির সন্ম,খৰতী হইয় বাহ যাহা দেখিলেন, ভtহাতে র্তাহার রোমাঞ্চ হইল। তিষ্ঠিবেন কি প্রত্যাবৰ্ত্তম করবেন তাহ স্থির করিতে পারিলেন না । শিখরাসীন মনুষ্ণু নয়ন মুদিত করিয়া ধ্যান করিতেছিল—নবকুমারকে প্রথম দেখিতে পাইল না । নবকুমার দেখিলেন তাছার বয়ঃক্রম প্রণয় পঞ্চtশৎ বৎসর হুইবেক । পরিধানে কোন কাপীসবক্স অাছে কি না তাহ। লক্ষ্য হইল না ; কটিদেশ হইতে জানু পর্যন্ত শাৰ্দ্দ লচৰ্ম্মে আৱত। গলদেশে ৰুদ্রণক্ষমালা ; আয়ত মুখমণ্ডল শ্বশ্ৰুজটা পরিবেষ্ঠিত। সম্মুখে কাষ্ঠে অগ্নি জ্বলি তেছিল—সেই অগ্নির দীপ্তি লক্ষ্য করিয়া নবকুমার সে স্থলে আসিতে পারিয়া ছিলেন । নবকুমার একটা বিকট দুর্গন্ধ পাইতে লাগিলেন ; ইহার আসন প্রতি দৃষ্টিপাত করিয়া তাহার কারণ অনুভূত করিতে পারিলেন । জটাধারী এক ছিন্ন-শীর্ষ গলিত শবের উপর বসিয়া আছেন। আরও সভয়ে দেখিলেল ৰে সম্মুখে নরকপাল রহিয়াছে ; তন্মধ্যে রক্তবর্ণ দ্রর পদার্থ রহিয়াছে । চতুর্দিকে স্থানে স্থানে অস্থি পড়িয়া রহিয়াছে—এমন কি ষোগtলীনের কণ্ঠস্থ ৰুদ্র ক্ষমালা মধ্যে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অস্থিখণ্ড গ্রথিত রছিয়াছে। নবকুমার মন্ত্ৰমুগ্ধ হইয়া রছিলেন । অগ্রসর হইবেন -কি স্থানত্যাগ করিবেন তfহ বুঝিতে পারিলেন না । তিনি কাপালিকfদগের কথা শ্রুত ছিলেন । বুলিলেন, যে এ ব্যক্তি দুরন্ত কাপালিক ।