পাতা:কপালকুণ্ডলা বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমুদ্রতটে । ১৫ সহিত সাক্ষাৎ হইৰে । যে পর্যন্ত সাক্ষাৎ না হয়, সে পৰ্য্যন্ত এ কুটীর ত্যাগ করিও না । ” এই বলিয়া কাপালিক প্রস্থান কুরিল । নবকুমার সেই সামানু ফলমূল আহার করিয়া এবং সেই ঈর্ষত্তিক্ত জলপান করিয়। পরম পরিতোষ লাভ করিলেন। পরে ব্যাঘ্রচর্যে শয়ন করিলেন, সমস্ত দিবস জনিত ক্লেশ হেতু শীঘ্রই নিদ্রাভিভূত হইলেন । পঞ্চম পরিচ্ছেদ । সমুদ্রতটে ।

    • ——e—যোগ প্রভাবে ন চ সক্ষাতে তে ।

বিভর্ষি চাকারমনির তানাং মৃণালিনী হুৈমমিৰোপরাগম ॥"

  • রঘুবংশ

প্রাতে উঠিয়া নবকুমার সহজেই বাট গমনের উপায় করিতে ব্যস্ত হইলেন ; বিশেষ এ কাপালিকের সন্নিধ্য কোন ক্রমেই শ্রেয়স্কর বলিয়া বোধ হইল না । কিন্তু আপাততঃ এ পথহীন ৰমমধ্য হইতে কি প্রকারে নিন্ধান্ত হইবেন ? কি প্রকারেই ব। পথ চিনিয়। বাট যাইবেন ? কাপালিক অবশ্য পথ জানে ; জিজ্ঞাসিলে কি বলিয়া দিবে না ? বিশেষ যতদূর দেখা গিয়াছে ততদূর কপিগলিক র্তাছার প্রতি কোন শঙ্কণসূচক সাচরণ করে নাই—কেনই বা তবে তিনি ভীত ছয়েন ? এ দিকে কাপালিক উছকে পুনঃ সাক্ষাৎ পর্যন্ত কুটার ত্যাগ করিতে নিষেধ করিয়াছে, তাহার অবাধ্য হইলে বরং তাহার রোবোৎপত্তির সম্ভাবনা । নবকুমার গ্রুত ছিলেন যে কাপালিকের মন্ত্রবলে অম্বাধ্য সাধনে সক্ষম—একারণে তাহার অবশ্য হওয়া অনুচিত ৷ ইত্যাদি বিবেচনা করিয়া নবকুমার আপাততঃ কুটীর মধ্যে অবস্থান করাই স্থির করিলেন,