৩২ কপালকুগুল । স্বজনতাক্ত ও সমাজচ্যুত হইয়া রামগোবিন্দ ঘোষাল অধিক দিন স্বদেশে বাস করিতে পারিলেন না । এই কারণেও বটে, এবং রাজপ্রসাদে উচ্চপদস্থ হুইবার আকাঙক্ষণয়ও বটে, তিনি সপরিবারে রাজপাট চাকানগরে গিয়া বসতি করিতে লাগিলেন । ধৰ্ম্মান্তর গ্রহণ করিয়া তিনি সপরিবারে মহম্মদীয় নাম ধারণ করিয়াছিলেন । ঢাকায় যাওয়ার পরে শ্বশুরের বা বনিভার কি অবস্থা হইল তাহ নবকুমারের জানিতে পারিবার কোন উপায় রছিল না এবং এ পর্যন্ত কথন কিছু জানিতেও পারিলেন না। নবকুমার বিরাগবশতঃ অণর দীরপরিগ্রহ করিলেন না। এই জন্য বলিতেছি নবকুমারের “ এক সংসারও” মহে । অধিকারী এ সকল বৃত্তান্ত অবগত ছিলেন না । তিনি বিবেচনা করিলেন, “ কুলীমের সন্তানের দুই সংসারে আপত্তি কি ?” প্রকাশ্যে কছিলেন, “আপনাকে একটা কথা জিজ্ঞাসা করিতে আসিয়াছিলাম । এই ধে কন্য আপনার প্রাণরক্ষা করিয়াছে— এ পরহিতার্থ আত্মপ্রাণ নষ্ট করিয়াছে । যে মহাপুরুষের অtশ্রয়ে ইহার বাস, তিনি অতি ভয়ঙ্করস্বভাব। র্তাহার নিকট প্রত্যাগমন করিলে, তোমার যে দশ ঘটিভেfছল ইহার সেই দশ। ঘটিৰেক । ইহার কোন উপায় বিবেচনা করিতে পারেন কি ন৷ ” নবকুমার উঠিয়া বসিলেন । কছিলেন, “ আমিও সেই আশঙ্কণ করিতেছিলাম । আপনি সকল অবগত আছেন,—ইহার উপায় কৰুন । আমার প্রাণদান করিলে যদি কোন প্রত্যুপকার হয়,—তবে তাছাতেও প্রস্তুত আছি । অtfম এমত সঙ্কপ করি= তেছি ষে আমি সেই নরঘাতকের নিকট প্রত্যাগমুন করিয়া আত্মসমৰ্পণ করি । তাছা হইলে ইহার রক্ষণ হুইবেক ।” অধিকারী হাস্য করিয়া কছিলেন, “ তুমি বাতুল । ইহাতে কি ফল দর্শিবে ? তোমারও প্রাণ সংহার হইৰে—অথচ ইহার প্রতি মহাপুরুষের ক্ৰোধোপশম হুইবেক না । ইহার এক মাত্র উপায় অাছে।” . মৰ। “ সে কি উপায় ?”
পাতা:কপালকুণ্ডলা বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৩৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।