পাতা:কপালকুণ্ডলা বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৬ - কপালকুণ্ডল । সবিশেষ সমালোচনা করিয়া জাসিয়া কছিলেন, “ আজি যদিও বৈবাছিক দিন লছে—তথাচ বিবাহে কোন বিঘ্ন নাই। গোধুলিলয়ে কন্যা সম্প্রদান করিৰ । তুমি অদ্য উপবাস করিয়া "থাকিৰ মাত্র । কোলিক আচরণ সকল বাট গিয়া করাইও । এক দিনের জন্য ড়োমীদিগের লুকাইয়া রাখিতে পারি, এমত স্থান আছে । আজি যদি তিনি আসেন তবে তোমাদিগের সন্ধান পাইবেন না । পরে বিবাহন্তে কালি প্রাতে সপত্নী বাট । यांझे● |” নবকুমার ইহাতে সম্মত হইলেন । এ অবস্থায় যত দূর সম্ভবে তত দূর যথাশাস্ত্র কার্য হইল।' গোধূলি লয়ে নবকুমায়ের সহিত কপিগলিকপালিত সন্ন্যাসিনীর বিবাহ হইল । কাপালিকের কোন সম্বাদ নাই । পরদিন প্রত্যুষে ভিন জনে যাত্রার উদ্যোগ করিতে লাগিলেন । অধিকারী মেদিনীপুরের পথ পৰ্য্যন্ত র্তাহাদিগের রাখিয়া আসিবেন । যাত্রাকালে কপালকুণ্ডল কালী প্রণমার্থ গেলেন । ভক্তিভাবে প্ৰণাম করিয়া, পুস্পপাত্র হইতে একটা অভিন্ন বিলুপত্ৰ প্রতিমার পাদোপরি স্থাপিত করিয়া তৎপ্রতি নিরীক্ষণ করিয়া রছিলেন । পত্রট পড়িয়া গেল । কপালকুণ্ডল। নিতান্ত ভক্তিপরায়ণ । বিলুদল প্রতিমাচরণচু্যত হইল দেখিয়া ভীত হইলেন –এবং অধিকারীকে সম্বাদ দিলেন । অধিকারীও বিষণ্ণ হইলেন । কছিলেন, .

  • এখন লিৰুপায় । এখন পতিমাত্র তোমার ধৰ্ম্ম ৷. পতি শ্মশানে গেলে তোমাকে সঙ্গে সঙ্গে যাইতৃে হইবে । অতএব নিঃশব্দে চল ।”

সকলে নিঃশব্দে চলিলেন । অনেক বেলা হইলে মেদিনীপুরের পথে মাসিয়া উপস্থিত হইলেন। তখন অধিকারী বিদায় হইলেন। কপালকুণ্ডল৷ কঁদিতে লাগিলেন । পৃথিবীতে ষে জন উগছীর একমাত্ৰ সুহৃৎ, সে বিদায় হইতেছে ।