পাতা:কপালকুণ্ডলা বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&8 কপালকুণ্ডল । কিন্তু বঙ্গীয় দশম একদাশ শতাব্দীতে সপ্তগ্রামের প্রাচীম সমৃদ্ধির লাঘব জন্মিয়াছিল। ইছার প্রধান কারণ এই যে, তন্নগরীর প্রাস্তভাগ প্রক্ষালিত করিয়া যে স্রোতঃস্বর্তী বাহিত হইত, এক্ষণে তাছা শঙ্কীর্ণশরীরা হইয়া আসিতে ছিল ; সুতরাং বৃহদাকার জলধান সকল আর নগরী পর্যন্ত আসিতে পারিত না। একারণ বানিজ্য বাহুল্য ক্রমে লুপ্ত হইতে লাগিল। বাণিজ্যগৌরব। লগরীর বাণিজ্য নাশ হইলে সকলই যায়। সপ্তগ্রামের সকলই গেল । একাদশ শতাব্দীতে হুগলী নুতন সৌষ্ঠৰে তাহার প্রতিযোগী হইয়া উঠিতেছিল। তথায় পর্তুগীসের বাণিজ্য আরম্ভ করিয়া সপ্তগ্রামের ধনলক্ষীকে আকৰ্ষিত 'করিতেছিলেন । কিন্তু তখনও • সপ্তগ্রাম একেৰীরে হভঞ্জ হয় লাই। তথায় এপর্য্যন্ত ফৌজদার প্রভৃতি প্রধান রাজপুরুষদিগের বাস ছিল ; কিন্তু নগরীর অনেকtংশ ক্রজষ্ট এৰং বসতিহীন হইয়া পল্লীগ্রামের আকার ধারণ করিয়াছিল । সপ্তগ্রামের, এক নির্জন ঔপনগরিক ভাগে নবকুমারের বাস । এক্ষণে সৃপ্তগ্রামের ভগ্নদশায় তথায় প্রায় মনুষ্য সমাগম ছিল লা ; রাজপথ সকল লতাগুল্মাদিতে পরিপূরিত হইয়াছিল । নবকুমারের বাটীর পশ্চাদ্ভাগেই এক বিস্তৃত নিবিড় বন । বাটীর সম্মুখে প্রায় ক্রোশাৰ্দ্ধ দূরে একটা ক্ষুদ্র খাল বছিত ; সেই খাল একটা ক্ষুদ্র প্রান্তর বেষ্টন করিয়া গৃহের পশ্চাদ্ভাগস্থ বনমধ্যে প্রবেশ করিয়া ছিল । গৃহট ইষ্টক রচিত ; দেশকাল বিবেচনা করিলে তাছাকে নিতান্ত সামান্য গৃহ বলা ষাইতে পারিত না । দোতাল ৰটে, কিন্তু ভয়ানক উচ্চ লছে, এখন একতালীয় সেরূপ উচ্চতা অনেক দেখা যায়। - এই গৃছের সোধোপরি ছুইটী সীমবয়স স্ত্রীলোক দাড়াইয়। চতুৰ্দ্দিক অবলোকন করিতে ছিলেম। সন্ধ্যাকাল উপস্থিত । চতুৰ্দ্দিকে যাহা দেখা যাইতেছিল, তাছ লোচনরঞ্জল বৃটে । নিকটে একদিকে, লিবিড়বল ; ভষ্মধ্যে অসংখ্য পক্ষীগণ কলরব