পাতা:কপালকুণ্ডলা বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৮২ কপালকুণ্ডল । উন্নিমার মনেfরখ কতদূর সিদ্ধ হইয়াছিল ভtছল অদ্যকার কথায় ७धकां★ हई८द । . নৰকুমার কিছু ক্ষণ নীরবে থাকিয় কছিলেন, “ তবে আমি এক্ষণে চলিলাম। তুমি আর জামাকে ডাকিও না ।” লুৎফ-উন্নিসা কহিৰ “ যাইও না । আর একটু থাক। আমার যাহা বক্তব্য তাহ সমাপ্ত করি নাই ।” নৰকুমার আরও ক্ষণেক প্রতীক্ষণ করিলেন, কিন্তু লুৎফ-উল্লিস। কিছু বলিলেন না । ক্ষণেক পরে নবকুমার জিজ্ঞাসা করিলেন, * আর কি বলিবে ?” লুংফ-উল্লিস। কোন উত্তর করিলেন মা— তিনি নীরবে রোদন করিতেছিলেন । নবকুমার ইহা দেখিয়া গাত্ৰোখাল করিলেন ; লুৎফু-উল্লিস। র্তাহার বস্ত্রাগ্র ধৃত করিলেন। নবকুমার ঈষৎ বিরক্ত হইয়। কহিলেন, “ কি বল না ?” লুৎফ-উন্নিসা কছিলেন “ তুমি কি চাও? পৃথিবীতে কিছু কি প্রার্থনীয় নাই ? ধন, সম্পদ, মান, প্রণয়, রঙ্গ, রহস্য, পৃথিবীতে যাহাকে যাহাকে মুখ বলে, সকলই দিব ; কিছুই তাছার প্রতিদান চাহি না ; কেৰল তোমার দাসী হইতে চাহি । তোমার যে পত্নী হইব, এ গৌরবও চাহি না, কেৰল দাসী !” নবকুমার কছিলেন, “ আমি দরিদ্র ব্রাহ্মণ, ইহ জন্মে দরিদ্র ব্রাহ্মণই থাকিব । তোমার দত্ত ধন সম্পদ লষ্টয় ষবনী জার হইতে পরিব না ।” • যৰনীজার ? নবকুমার এ পর্য্যন্ত জানিতে পারেন নাই যে, এই রমণী তাহার পত্নী। লুৎফ-উন্নিসা অধোবদলে রহিলেন । নৰকুমার উপহার হস্ত হইতে বস্ত্রাগ্রভাগ মুক্ত করিলেন । লুৎফ-উন্নিসা আবার তাহtয় বস্ত্রাগ্র ধরিয়া কছিলেল,

  • ভাল, সে যাউক । বিধাতার যদি সেই ইচ্ছ, তবে চিত্তবৃত্তি সকল অতল তলে ডুবাইৰ। আর কিছু চাছি দা, এক এক