পাতা:কপালকুণ্ডলা বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

సెe কপালকুণ্ডল । কালে লুৎফ-উন্নিসা কাননে, সে দিন কপালকুণ্ডল অন্য মনে শয়নকক্ষে বসিয়া আছেন। পাঠক মহাশয় সমুদ্রতীরে অtলুলায়িতকুন্তল ভূষণহীন ষে কপালকুগুল দেখিয়াছিলেন, এ সে কপালকুণ্ডলা মছে । শ্যামাসুন্দরীর ভবিষ্যৎ বাণী সত্য ছইয়াছে ; স্পর্শমণির স্পর্শে ষোগিনী গৃহিণী হইয়াছে ; এই ক্ষণে সেই অসংখ্য কষ্ণেtঞ্জল, ভুজঙ্গের বৃহতুল্য, অণ্ডিল্‌ফ-লম্বিত কেশরাশি পশ্চাদ্ভাগে স্থলবেণীসম্বন্ধ হইয়াছে। বেণীরচনারও শিল্পপারিপাট্য লক্ষিত হইতেছে ; কেশবিন্যাসে অনেক সূক্ষম কাৰুকাৰ্য্য শ্যামাসুন্দরীর বিন্যাসকৌশলের পরিচয় দিতেছে । কুমুমদামও পরিত্যক্ত ছয় মাই চতুষ্পীশ্বে কিরীটিমণ্ডল স্বরূপ বেণী বেষ্টন করিয়া রছিয়াছে । কেশের ষে ভাগ বেণী মধ্যে ন্যস্ত হয় নাই তাছ যে শিরোপরি সর্বত্রে সমালোচ্চ হইয় রছিয়াছে, এমত মহে । অtফুধর্ম প্রযুক্ত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কষ্ণ তরঙ্গ লেখায় শোভিত হইয়া রহিয়াছে । মুখমণ্ডল এখন আর কেশভারে অৰ্দ্ধলুক্কায়িত নছে ; জ্যোতির্ময় ছইয়া শোভা পাইতেছে ; কেবল মাত্র স্থানে স্থামে বন্ধলবিআংসী ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অলকাগুচ্ছ তছুপরি স্বেদবিজড়িত হইয়া রহিয়াছে । বর্ণ সেই অদ্ধপূর্ণশশাঙ্করশ্মিৰুচ । এখন দুই কর্ণে হেমকর্ণভূষণ দুলিতেছে ; কণ্ঠে হিরন্ময় কণ্ঠমালা জুলিতেছে । বর্ণের নিকটে সে সকল স্নাম হয় নাই, অৰ্দ্ধচন্দ্রকৌমুদীবসন। ধরণীর অঙ্কে নৈশকুসুমবৎ শোভা পাইতেছে। উrহার পরিধানে শুক্লাম্বর ; সে শুক্লাম্বর অৰ্দ্ধচন্দ্রদীপ্ত আকাশমণ্ডলে অনিবিড় শুক্ল মেঘের ন্যায় শোভা পাইতেছে। த বর্ণ সেইরূপ চন্দ্রাদ্ধকৌমুদীময় বটে, কিন্তু ষেন পুৰ্ব্বাপেক্ষণ ঈষৎ সমল, ষেন আকাশপ্রাস্তে কোথা কাল মেঘ দেখা দিয়াছে। কপালকুণ্ডলা একাকিনী বসিয়াছিলেন না ; দধী শ্যামাসুন্দরী নিকটে বসিয়াছিলেন । উছাদিগের উভয়ে পরস্পরে কথোপকথন হইতেছিল । তাছার কিয়দংশ পাঠক মহাশয়কে শুলিতে হইবেক । {