লু। “তা হইয়াছে। কেবল রাজাজ্ঞার সাপেক্ষ। রাজার সম্মতি প্রকাশ না হইলে কোন সম্বন্ধ স্থির নহে।”
বাদ। “আমার সম্মতির প্রয়োজন কি? কাহাকে এ সুখের সাগরে ভাসাইবে অভিপ্রায় করিয়াছ?”
লু। “দাসী দিল্লীশ্বরের সেবা করিয়াছে বলিয়া দ্বিচারিণী নহে। দাসী আপন স্বামীকেই বিবাহ করিবার অনুমতি চাহিতেছে?”
বাদ। “বটে। এ পুরাতন নফরের দশা কি করিবে?”
লু। “দিল্লীশ্বরী মেহের-উন্নিসাকে দিয়া যাইব।”
বাদ। “দিল্লীশ্বরী মেহের-উন্নিসা কে?”
লু। “যিনি হইবেন।”
জাঁহাগীর মনে ভাবিলেন যে মেহের-উন্নিসা যে নিশ্চিত দিল্লীশ্বরী হইবেন তাহা, লুৎফ্-উন্নিসা ধ্রুব জানিয়াছেন। তৎকারণে নিজ মনোভিলাষ বিফল হইল বলিয়া রাজাবরোধ হইতে বীতরাগে অবসর হইতে চাহিতেছেন।
এইরূপ বুঝিয়া জাঁহাগীর দুঃখিত হইয়া নীরবে রহিলেন। লুৎফ্-উন্নিসা কহিলেন,
“মহারাজের কি এ সম্বন্ধে সম্মতি নাই?”
বাদ। “আমার অসম্মতি নাই। কিন্তু স্বামীর সহিত আবার বিবাহের আবশ্যকতা কি?”
লু। “কপালক্রমে প্রথম বিবাহে স্বামী পত্নী বলিয়া