পে। “সে কি? আপনি কহিতেছেন যে মেহের-উন্নিসা বাদশাহের বেগম হইবার কোন সম্ভাবনা নাই।
লু। “আমি এমত কথা বলি নাই। আমি বলিয়াছি সে বিষয়ে আমার কোন চিন্তা নাই।”
পে। “চিন্তা নাই কেন? আপনি আগ্রায় একমাত্র অধীশ্বরী না হইলে যে সকলই বৃথা হইল।”
লু। “আগ্রার সহিত সম্পর্ক রাখিব না।”
পে। “সে কি? আমি যে বুঝিতে পারিতেছি না, আজিকার শুভ সম্বাদ টা তবে কি বুঝাইয়াই বলুন।”
লু। “শুভ সম্বাদ এই যে আমি এ জীবনের মত আগ্রা ত্যাগ করিয়া চলিলাম।”
পে। “কোথায় যাইবেন?”
লু। “বাঙ্গলায় গিয়া বাস করিব। পারি যদি কোন ভদ্র লোকের গৃহিণী হইব।”
পে। “এরূপ ব্যঙ্গ নূতন বটে, কিন্তু শুনিলে প্রাণ শিহরিয়া উঠে।”
লু। “ব্যঙ্গ করিতেছি না। আমি সত্য সত্যই আগ্রা ত্যাগ করিয়া চলিলাম। বাদশাহের নিকট বিদায় লইয়া আসিয়াছি।”
পে। “এমন কুপ্রবৃত্তি আপনার কেন জন্মিল?”
লু। “কুপ্রবৃত্তি নহে। অনেক দিন আগ্রায় বেড়াইলাম, কি ফল লাভ হইল? সুখের তৃষা বাল্যাবধি বড়ই প্রবল ছিল। সেই তৃষার পরিতৃপ্তি জন্য বঙ্গদেশ ছাড়িয়া এ পর্য্যন্ত আসিলাম। এ রত্ন কিনিবার জন্য