ন্তুকের বক্ষে হস্ত দিয়া তাড়িত করিলেন, কিন্তু তাহাকে সরাইতে পারিলেন না।
নবকুমার কহিলেন, “কে তুমি? দূর হও—আমার পথ ছাড়।”
আগন্তক কহিল “কে আমি, তুমি কি চেন না?”
শব্দ সমুদ্রনাদবৎ কর্ণে লাগিল। নবকুমার চহিয়া দেখিলেন; দেখিলেন সে পূর্ব্বপরিচিত জটাজূটধারী কাপালিক।
নবকুমার চমকিয়া উঠিলেন; কিন্তু ভীত হইলেন না। সহসা তাঁহার মুখ প্রফুল্ল হইল—কহিলেন,
“কপালকুণ্ডলা কি তোমার সহিত সাক্ষাতে যাইতেছে?” কাপালিক কহিল “না”।
জ্বালিতমাত্র আশার প্রদীপ তখনই নির্ব্বাণ হওয়াতে নবকুমারের মুখ পূর্ব্ববৎ মেঘময় অন্ধকারাবিষ্ট হইল।
কহিলেন, “তবে তুমি পথ মুক্ত কর।”
কাপালিক কহিল “পথ মুক্ত করিতেছি কিন্তু তোমার সহিত আমার কিছু কথা আছে—অগ্রে শ্রবণ কর।”
নবকুমার কহিলেন, “তোমার সহিত আমার কি কথা? তুমি আবার আমার প্রাণনাশের জন্য আসিয়াছ? প্রাণগ্রহণ কর, আমি এবার কোন ব্যাঘাত করিব না। তুমি এক্ষণে অপেক্ষা কর, আমি আসিতেছি। কেন আমি দেবতুষ্টির জন্য শরীর না দিলাম? এক্ষণে তাহার ফল ভোগ করিলাম। যে আমাকে রক্ষা করিয়াছিল, সেই আমাকে নষ্ট করিল। কাপালিক! আমাকে