পাতা:কপালকুণ্ডলা (দ্বিতীয় সংস্করণ).pdf/২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৮
কপালকুণ্ডলা।

 কাপালিক কহিল “তিষ্ঠ” এই কহিয়া পূর্ব্বকার্য্যে নিযুক্ত হইল। নবকুমার দাঁড়াইয়া রহিলেন।

 এই রূপে প্রহরার্দ্ধ গত হইল। পরিশেষে কাপালিক গাত্রোত্থান করিয়া নবকুমারকে পূর্ব্ববৎ সংস্কৃতে কহিল “মামনুসর।”

 ইহা নিশ্চিত বলা যাইতে পারে যে অন্য সময়ে নবকুমার কদাপি ইহার সঙ্গী হইতেন না। কিন্তু এক্ষণে ক্ষুধা তৃষ্ণায় প্রাণ কণ্ঠাগত। অতএব কহিলেন, “প্রভুর যেমত আজ্ঞা। কিন্তু আমি ক্ষুধা তৃষ্ণায় বড় কাতর। কোথায় গেলে আহার্য্য সামগ্রী পাইব অনুমতি কৰুন।”

 কাপালিক কহিল, “তুমি ভৈরবীর প্রেরিত; আমার সঙ্গে আইস। আহার্য্যসামগ্রী পাইতে পারিবে।”

 নবকুমার কাপালিকের অনুগামী হইলেন। উভয়ে অনেক পথ বাহিত করিলেন—পথিমধ্যে কেহ কোন কথা কহিল না। পরিশেষে এক পর্ণকুটীর প্রাপ্ত হইল—কাপালিক প্রথমে প্রবেশ করিয়া নবকুমারকে প্রবেশ করিতে অনুমতি করিল। এবং নবকুমারের অবোধগম্য কোন উপায়ে এক খণ্ড কাষ্ঠে অগ্নি জ্বালিত করিল। নবকুমার তদালোকে দেখিলেন যে ঐ কুটীর সর্ব্বাংশে কিয়াপাতায় রচিত। তন্মধ্যে কয়েক খানা ব্যাঘ্রচর্ম্ম আছে—এক কলস বারি ও কিছু ফল মূল আছে।

 কাপালিক অগ্নি জ্বালিত করিয়া কহিল “ফল মূল যাহা আছে আত্মসাৎ করিতে পার। পর্ণপাত্র রচনা করিয়া কলস-জল পান করিও। ব্যাঘ্রচর্ম্ম আছে অভি-