পাতা:কপালকুণ্ডলা (দ্বিতীয় সংস্করণ).pdf/৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
[ ২৫ ]

ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ।


কাপালিকসঙ্গে।

“কথং নিগড়সংযতাসি দ্রুতম্
নয়ামি ভবতীমিতঃ”——————

রত্নাবলী

নবকুমার কুটীরমধ্যে প্রবেশ করিয়া দ্বার সংযোজন পূর্ব্বক করতলে মস্তক দিয়া বসিলেন। শীঘ্র আর মস্তকোত্তোলন করিলেন না।

 “এ কি দেবী—মানুষী—না কাপালিকের মায়া মাত্র!” নবকুমার নিস্পন্দ হইয়া হৃদয় মধ্যে এই কথার আন্দোলন করিতে লাগিলেন। কিছুই বুঝিতে পারিলেন না।

 অন্যমনস্ক ছিলেন বলিয়া, নবকুমার আর একটী ব্যাপার দেখিতে পান নাই। সেই কুটীর মধ্যে তাঁহার আগমন পূর্ব্বাবধি এক খানি কাষ্ঠ জ্বলিতেছিল। পরে যখন অনেক রাত্রে স্মরণ হইল যে সায়াহ্নকৃত্য অসমাপ্ত রহিয়াছে—তখন জলান্বেষণ অনুরোধে চিন্তা হইতে ক্ষান্ত হইয়া এ বিষয়ের অসম্ভাবিতা হৃদয়ঙ্গম করিতে পারিলেন। শুধু আলো নহে, তণ্ডুলাদিপাকোপযোগী কিছু কিছু সামগ্রীও আছে। নবকুমার বিস্মৃত হইলেন না—মনে করিলেন যে এও কাপালিকের কর্ম্ম—এ স্থানে বিস্ময়ের বিষয় কি আছে।