প্রতি মহাপুৰুষের ক্রোধোপশম হইবেক না। ইহার এক মাত্র উপায় আছে।”
নব। “সে কি উপায়?”
অধি। “তোমার সহিত ইহার পলায়ন। কিন্তু সে অতি দুর্ঘট। আমার এখানে থাকিলে দুই এক দিন মধ্যে ধৃত হইবে। এ দেবালয়ে মহাপুৰুষের সর্ব্বদা যাতায়াত। সুতরাং কপালকুণ্ডলার অদৃষ্টে অশুভ নিশ্চিত দেখিতেছি।”
নবকুমার আগ্রহ সহকারে জিজ্ঞাসা করিলেন, “আমার সহিত পলায়ন দুর্ঘট কেন?”
অধি। “এ কাহার কন্যা,—কোন্ কুলে জন্ম, তাহা আপনি কিছুই জানেন না। কাহার পত্নী,—কি চরিত্রা, তাহা কিছুই জানেন না। আপনি ইহাকে কি সঙ্গিনী করিবেন? সঙ্গিনী করিয়া লইয়া গেলেও কি আপনি ইহাকে নিজ গৃহে স্থান দিবেন? আর যদি স্থান না দেন তবে এ অনাথিনী কোথা যাইবে?”
ধন্য রে কুলাচার্য্য!
নবকুমার ক্ষণেক চিন্তা করিয়া কহিলেন “আমার প্রাণ রক্ষয়ত্রীর জন্য কোন কার্য্য আমার অসাধ্য নহে। ইনি আমার আত্মপরিবারস্থা হইয়া থাকিবেন।”
অধি। “ভাল। কিন্তু যখন আপনার আত্মীয় স্বজন জিজ্ঞাসা করিবে যে এ কাহার স্ত্রী, কি উত্তর দিবেন?”
নবকুমার পুনর্ব্বার চিন্তা করিয়া কহিলেন, “আপনিই ইহাঁর পরিচয় আমাকে দিন। আমি সেই পরিচয় সকলকে দিব।”