পাতা:কপালকুণ্ডলা (দ্বিতীয় সংস্করণ).pdf/৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৭২
কপালকুণ্ডলা।

 মৃ। “যখন এই ব্রাহ্মণ সন্তানের সহিত সাক্ষাৎ তখন ত আমি যোগিনীই ছিলাম।”

 শ্যা। “এখন আর থাকিতে পারিবে না”

 মৃ। “কেন থাকিব না।”

 শ্যা। “কেন? দেখিবি? তোর যোগ ভাঙ্গিব। পরশপাতর কাহাকে বলে জান?”

 মৃণ্ময়ী কহিলেন “না।”

 শ্যা। “পরশ পাতরের স্পর্শে রাঙ্গও সোনা হয়।”

 মৃ। “তাতে কি?”

 শ্যা। “মেয়েমানুষেরও পরশপাতর আছে।”

 মৃ। “সে কি।”

 শ্যা। “পুৰুষ। পুৰুষের বাতাসে যোগিনীও গৃহিনী হইয়া যায়। তুই সেই পাতর ছুয়েছিস্। দেখিবি,

বাঁধাব চুলেররাশ, পরাব চিকণ বাস,
 খোপায় দোলাব তোর ফুল।
কপালে সিঁথির ধার, কাঁকালেতে চন্দ্রহার,
 কানে তোর দিব যোড়াদুল॥
কুঙ্কুম চন্দন চূয়া, বাটা ভোরে পান গুয়!,
 রাঙ্গামুখ রাঙ্গা হবে রাগে।
সোণার পূতলি ছেলে, কোলে তোর দিব ফেলে,
 দেখি ভাল লাগে কি না লাগে॥”

 মৃণ্ময়ী কহিলেন, “ভাল, বুঝিলাম। পরশপাতর যেন ছুয়েছি, সোণা হলেম। চুল বাঁধিলাম; ভাল কাপড় পরিলাম; খোপায় ফুল দিলাম; সিঁথিতে চন্দ্রহার