পরিলাম; কানে দূল দুলিল; চন্দন, কুঙ্কুম, চূয়া, পান, গুয়া, সোণার পুতলি পর্য্যন্ত হইল। মনে কর সকলই হইল। তাহা হইলেই বা কি সুখ?”
শ্যা। “বল দেখি ফুলটী ফুটিলে কি সুখ?”
মৃ।“লোকের দেখে সুখ; ফুলের কি?”
শ্যামাসুন্দরীর মুখকান্তি গম্ভীর হইল; প্রভাতবাতাহত নীলোৎপলবৎ বিস্ফারিত চক্ষু ঈষৎ দুলিল; বলিলেন “ফুলের কি? তাহা ত বলিতে পারি না। কখন ফুল হইয়া ফুটি নাই। কিন্তু বুঝি যদি তোমার মত কলি হইতাম তবে ফুটিয়া সুখ হইত।” সীমান্ত
শ্যামা কুলীনপত্নী।
আমরাও এই অবকাশে পাঠক মহাশয়কে বলিয়া রাখি যে ফুলের ফুটিয়াই সুখ। পুষ্পরস, পুষ্প গন্ধ, বিতরণই তার সুখ। আদান প্রদানই পৃথিবীর সুখের মূল, তৃতীয় মূল নাই। মৃণ্ময়ী বন মধ্যে থাকিয়া এ কথা কখন হৃদয়ঙ্গম করিতে পারেন নাই—অতএব কথার কোন উত্তর না দিলেন।
শ্যামাসুন্দরী তাঁহাকে নীরব দেখিয়া কহিলেন “আচ্ছা—তাই যদি না হইল;—তবে শুনি দেখি তোমার সুখ কি?”
মৃণ্ময়ী কিয়ৎক্ষণ ভাবিয়া বলিলেন “বলিতে পারি না। বোধ করি সমুদ্র তীরে সেই বনে বনে বেড়াইতে পারিলে আমার সুখ জন্মে।”
শ্যামাসুন্দরী কিছু বিস্মিতা হইলেন। তাঁহাদিগের
৭