পে। “তা ত জানি। কিন্তু তোমার পূর্ব্বস্বামী ওমরাহ হইবেন কেন?”
মতি। “তবে আমার আর কোন স্বামী আছে?”
পে। “যিনি নূতন হইবেন।”
মতি ঈষৎ হাসিয়া কহিলেন, আমার ন্যায় সতীর দুই স্বামী, এ বড় অন্যায় কথা।——ও কে যাইতেছে?”
যাহাকে দেখিয়া মতি কহিলেন, “ও কে যাইতেছে?” পেষ্মন তাহাকে চিনিল; সে আগ্রা নিবাসী, খা আজিমের আশ্রিত ব্যক্তি। উভয়ে ব্যস্ত হইলেন। পেষ্মন্ তাহাকে ডাকিলেন; সে ব্যক্তি আসিয়া লুৎফ্-উন্নিসাকে অভিবাদন পূর্ব্বক এক খানি পত্র দান করিল; কহিল,
“পত্র লইয়া উড়িষ্যা যাইতেছিলাম। পত্র জরূরি।”
পত্র পড়িয়া মতিবিবির আশা ভরসা সকল অন্তর্হিত হইল। পত্রের মর্ম্ম এই,
“আমাদিগের যত্ন বিফল হইয়াছে। মৃত্যুকালেও আকবরশাহ আপন বুদ্ধিবলে আমাদিগের পরাভূত করিয়াছেন। তাঁহার পরলোকে গতি হইয়াছে। তাঁহার আজ্ঞাবলে, কুমার সেলিম এক্ষণে জাঁহাগীর শাহ হইয়াছেন। তুমি খস্ৰুর জন্য ব্যস্ত হইবে না। এই উপলক্ষে কেহ তোমার শত্রুতা সাধিতে না পারে, এমত চেষ্টার জন্য তুমি শীঘ্র আগ্রায় ফিরিয়া আসিবা।”
আকবর শাহ যে প্রকারে এ ষড়যন্ত্র নিষ্ফল করেন, তাহা ইতিহাসে বর্ণিত আছে; এ স্থলে তদুল্লেখের আবশ্যক নাই।