মেহে। “স্ফূর্ত্তির অল্পতা কই? তবে যে তুমি আমাকে কাল প্রাতে ত্যাগ করিয়া যাইবে তাহাই বা কি প্রকারে ভুলিব? আর দুই দিন থাকিয়া তুমি কেনই বা চরিতার্থ না করিবে?'
ম।“সুখে কার অসাধ। সাধ্য হইলে আমি কেন যাইব? কিন্তু আমি পরের অধীন; কি প্রকারে থাকিব?”
মেহে। আমার প্রতি তোমার ত ভালবাসা আর নাই, থাকিলে তুমি কোন মতে রহিয়া যাইতে। আসিয়াছ ত রহিতে পার না কেন?”
ম। “আমি ত সকল কথাই বলিয়াছি। আমার সহোদর মোগল সৈন্যে মন্সব্দার—তিনি উড়িষ্যার পাঠানদিগের সহিত যুদ্ধে আহত হইয়া শঙ্কটাপন্ন হইয়া ছিলেন। আমি তাঁহারই বিপৎ সম্বাদ পাইয়া বেগমের অনুমতি লইয়া তাঁহাকে দেখিতে আসিয়াছিলাম। উড়িষ্যায় অনেক বিলম্ব করিয়াছি, এক্ষণে আর বিলম্ব করা উচিত নহে। তোমার সহিত অনেক দিন দেখা হয় নাই, এই জন্য দুই দিন রহিয়া গেলাম।”
মেহে। “বেগমের নিকট কোন্ দিন পৌছিবার বিষয় স্বীকার করিয়া আসিয়াছ?”
মতি বুঝিলেন, মেহের-উন্নিসা ব্যঙ্গ করিতেছেন। মার্জ্জিত অথচ মর্ম্মভেদী ব্যঙ্গে মেহের-উন্নিসা যে রূপনিপুণ, মতি সে রূপ নহেন। কিন্তু অপ্রতিভ হইবার লোকও নহেন। তিনি উত্তর করিলেন,
“দিন নিশ্চিত করিয়া তিন মাসের পথ যাতায়াত