করা কি সম্ভবে? কিন্তু অনেক কাল বিলম্ব করিয়াছি; আর বিলম্বে অসন্তোষের কারণ জন্মাইতে পারে।”
মেহের-উন্নিসা নিজ ভুবনমোহন হাসি হাসিয়া কহিলেন, “কাহার অসন্তোষের আশঙ্কা করিতেছ? যুবরাজের না তাঁহার মহিষীর?”
মতি কিঞ্চিৎ অপ্রতিভ হইয়। কহিলেন “এ লজ্জাহীনাকে কেন লজ্জা দিতে চাও? উভয়েরই অসন্তোষ হইতে পারে।”
মে। “কিন্তু জিজ্ঞাসা করি,—তুমি স্বয়ং বেগম নাম ধারণ করিতেছ না কেন? শুনিয়াছিলাম কুমার সেলিম তোমাকে বিবাহ করিয়া খাস বেগম করিবেন। তাহার কত দূর?”
ম। “আমি ত সহজেই পরাধীনা। যে কিছু স্বাধীনতা আছে, তাহা কেন নষ্ট করিব। বেগমের সহচারিণী বলিয়া অনায়াসে উড়িষ্যায় আসিতে পারিলাম; সেলিমের বেগম হইলে কি উড়িষ্যায় আসিতে পারিতাম?”
মে। “যে দিল্লীশ্বরের প্রধানা মহিষী হইবে তাহার উড়িষ্যায় আসিবার প্রয়োজন?”
ম। “সেলিমের প্রধান। মহিষী হইব, এমত স্পর্দ্ধা কখন করি না।—এ হিন্দুস্থান দেশে কেবল মেহের-উন্নিসাই দিল্লীশ্বরের প্রাণেশ্বরী হইবার উপযুক্ত।”
মেহের-উন্নিসা মুখ নত করিলেন। ক্ষণেক নিরুত্তর থাকিয়া কহিলেন—“ভগিনি—আমি এমত মনে করি না। যে তুমি আমাকে পীড়া দিবার জন্য এ কথা বলিলে, কি