পাতা:কবিতাসংগ্রহ ১ - তপোধীর ভট্টাচার্য.pdf/১২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

উচ্ছল জ্যোৎস্নাকে মুচড়ে দেয়
তীব্র হরিধ্বনি, কালরাত্রি নেমে আসে।
সন্তানের নিদ্রাহীন চোখে
চিতার আগুনে জ্ঞাতিকাষ্ঠ দিয়ে ঘরে ফেরে নিরুদ্বিগ্ন
ব্যস্ত প্রতিবেশী
সমস্ত স্থাপত্য ভেঙে হাহাকারে ফেটে যায় প্রতিধ্বনিহীন
ফিরে আয় ফিরে আয় ধ্বনি...


দিনলিপি জুড়ে শুধু ছিদ্রহীন অসূর্যার অন্ধ অনুভব
এলিয়ে পড়েছে কথকতা
লাবণ্যের ভাষা শুষে নিয়ে রেখে গেছ নিথর মুহূর্ত শুধু
এই বার্তা তোমাকে জানাই

বেঁচে আছি তোমাকে ছাড়াই, এই ক্রুর উচ্চারণ
বড়ো হন্তারক বিষ-গুল্মময়
তোমার সমস্ত আলো অরুণ-বরুণ-কিরণমালাকে দিয়ে
মিশে গেছ অন্ধকারে, পারাপারহীন

অমোঘ বিদায় আজ যাপনের অনুপুঙ্খ হলো
তুমি আছ চিরদিন তবু নেই নেই নেই।
নেই?
কেন নেই তুমি?


সমস্ত রূপক ভেঙে দিচ্ছে অন্ধকার
সব ভাষা, সব আলো
গিলে খাচ্ছে তোমার এমন চলে-যাওয়া

পড়ে আছে স্পর্শধন্য অনুপুঙ্খগুলি
ভোরের আলোর মতো মায়ায় জড়ানো।
স্মৃতি, তোমাতে বিলীন আজ

১২০