পাতা:কবিতাসংগ্রহ ১ - তপোধীর ভট্টাচার্য.pdf/১২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

দানাপানি নেই বছর-বিয়োনি মায়েদের
খামারের স্মৃতি নিয়ে
আকালের রাত গাঢ় হয়ে ওঠে, কাঙালের
অবসন্ন গানে!

ঠুকরে ঠুকরে ছিড়ে-খুঁড়ে খেয়ে নিচ্ছে কারা হাড়-মাংস
আমাদের মেধা-মজ্জা সুখ ও অসুখ
শকুনের ভোজসভা এরকম হয়, হয়ে থাকে
ফসলের মাঠ ছিল কোনোদিন, আপাতত ভাগাড়ের
বিপুল বিস্তারে কোথাও রয়েছে পালকের স্তূপ
কোথাও বা ফি্নকি দিয়ে ওঠে রক্তের প্রবাহ আর দ্যাখো ঐ
মাছিদের ওড়াউড়ি
প্রতিদিন আলোর পাঁজর ছিড়ে এভাবেই আসে অন্ধকার
প্রতিরাত এই নিয়ে যাই ঘুমের ভেতরে

এই বাকে বৈভব নেই, রূপকের অবভাস নেই


যে-কোনো শেকড় থেকে বুঝে নিই।
কতদূর ছড়িয়েছে
আগুনের আঁচ, মাটির আদলে এত
ছাই আর কালো রঙ দেখে
জানি, এই ঋতু হননের পরিহাসে ভরা
হাসতে-হাসতে দ্যাখ
শ্মশানে গড়িয়ে পড়ছে শববাহকেরা
কোনো ফুল নেই
অক্ষরের চিতায় দেওয়ার মতো
পোড়া খই
কোথায় ছড়াব, সোনামনি!


মুঠো-ভর্তি ধুলো, কেন একে এতদিন পরাগ ভেবেছি!

সময় জহ্লাদ হলো ভেঙে দিয়ে রূপোর কাঠিকে

১২৩