পাতা:কবিতাসংগ্রহ ১ - তপোধীর ভট্টাচার্য.pdf/১৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

১৪
আলো হোক, আলো হোক, আলো হোক, আলো

মুহূর্তের সমস্ত পিপাসা মুছে নিয়ে
লেখো রাত্রি
লেখো জয়
লেখো আকাশ লেখো আকাশ লেখো হে আকাশ

স্পন্দন, তোমাকে শিখি
ধূলো, তোমাকেও
গাঢ় চুম্বনের দাগ ঘাসে-ঘাসে, দিনের পরিধি জুড়ে
শিখি এই প্রকাশের আয়ু

আলো হোক, আলো হোক, আলো হোক, আলো

১৫
জল ফিরে যাচ্ছে উৎসে। এখানেই শুরু হলো
সন্ধাভাষা। এই ভাষা রাত্রি-সহচর।.
ভুসুকুর ভাত নেই আজও। ফুটো হাঁড়ি থেকে
গলে গেছে রূপকের আয়ু। ক্রিয়া নেই
বিশেষণ নেই। শুধু ন্যাংটো অভিধার ছায়া
পড়ে আছে কঙ্কাল-শহরে। জল আজ
ফিরে যাচ্ছে উৎসে। মোহানার দিকে তার
যাওয়া নেই আর। খালি হাতে
ফিরে আসে কাহ্নপাদ শবরীর কাছে। ভাষা থেকে
খসে পড়ছে সন্ধানের আলো।

১৬
পুড়ে যাচ্ছে আঁখি-তারা, ইড়া ও পিঙ্গলা
ধ্যান ভেঙে যায়, কায়াতরু
থেকে জেগে ওঠে কামমোহিতের শ্লোক
এই পরম্পরা আজ শিখে নিচ্ছে
রূপান্তর, তবু দাহ থেকে যায় পুরোনো রিপুর
পাঁচ শাখা যায় পাঁচ দিকে
খামারের বুক চিরে, কোষে-কোষে, মাটি ও হাওয়ায়
পুড়ে যাচ্ছে স্মৃতিবীজ ধ্যানের প্রহর
ও আঁখি ও তারা ....

১৩৫