পাতা:কবিতাসংগ্রহ ১ - তপোধীর ভট্টাচার্য.pdf/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

বোধ

কেউ তো আমার মুখ দেখে না চোখ দেখে না।
বুক দেখে না
আমি একা পথের পাশে নদীর পাশে
যেমন-তেমন
সুখের পাশে বন্ধুবিহীন দাঁড়িয়ে আছি
অন্ধকারে
যে-যার-পথে যে-যার-প্রেমে যে-যার-সুখে।
আত্মীয়তায়
মগ্ন আছে মাটির ভেতর যেমন শেকড়
প্রতিশ্রুতির
শরীর ছুঁয়ে গভীরে যায় অল্প-স্বল্প
দুঃখে কাটায়
কেউ জানে না জীবনযাপন নির্জনতায়
আমূল পোড়ে
আদ্যোপান্ত স্মৃতিই থাকে কলুষবিহীন
মুখচ্ছবির
কেউ তো আমার মুখ দেখে না বুক দেখে না
চোখ দেখে না


যৌথ শবাগার

নিঃশব্দ জলের তোড়ে ভেসে যাচ্ছে যৌথ শবাগার, কিশোরীর
বাদামি চিবুক থেকে মায়াময় নির্জন তর্জনি
তুলে আনছে গাঢ়তম রেখা, জলের নির্ঘোষ নেই, তবু মাঝে-মাঝে
স্রোতের বিষাদ দেখে কিশোরীর চোখ ভরে যাচ্ছে
জলে, বাতাসের ওষ্ঠ-চলাচল তার চুল ঝামরে দিয়েছে
চোখের আফোট নীলিমায় কবেকার অভিমান
জেগে আছে স্মৃতির সন্ত্রাস নিয়ে

আজ, নদীর উপান্তে ঐ স্রোতের বিষাদে কিশোরীর চোখ
মগ্নতা জেনেছে, যে জলে নির্ঘোষ নেই তার
নিবিড় ওঙ্কার থেকে জেগে উঠছে দৃশ্যগত ভুল, তর্জনির নখে
হয়তো বা লেগে আছে খুঁটিনাটি ভ্রম

নিঃশব্দ জলের তোড়ে ভেসে যাচ্ছে যৌথ শবাগার

১৪