পাতা:কবিতাসংগ্রহ ১ - তপোধীর ভট্টাচার্য.pdf/৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

এলিজি: উনিশশ’ নব্বই

এত ধূলো আর ছাই বাতাসে উড়েছে কেন
কেঁপে উঠছে নাভিমূল, কোলাহলে
ঢেকে যাচ্ছে শববাহকের শোক, অলিন্দে দাঁড়িয়ে
দ্যাখো ঐ ঐ শেষ সুষমার হাসি ও লাবণ্য
আ’ পৃথিবী, মুছে দাও মুগ্ধ পুরুষের চুম্বনের দাগ
শুকনো ডালে এসো নবশ্যাম ঝড় নিয়ে এসো
ভুলে যাই গৃহবলিভুক আলো, স্মৃতির পাহারা
গাঢ় আঁধি এল, দীর্ঘ বিলম্বিত শীৎকার ভুলিয়ে
ভেঙেচুরে প্রতিমার নবীন কাঠামো, তবে এসো নবঘনশ্যাম
আ’ পৃথিবী, এত দেরি হচ্ছে কেন?


লেখার টেবিল

কলমের ওষ্ঠ ছুঁয়ে ফিরে যাচ্ছে ক্লান্ত অক্ষরেরা
গোপন অসুখে পুড়ে যাচ্ছে জীবন, আর
অক্ষরের পৃথিবী জুড়ে নষ্ট চূণ স্মৃতিভ্রম
মিথ্যা শুশ্রষার আয়োজন-
লেখার টেবিলে আজকাল শুধুই মৃত্যুর গন্ধ

কাগজের ভাঁজে ভাঁজে ঘৃণা, রূঢ় অন্ধকার
বোবা হাহাকার
গিলে খাচ্ছে কলমের আত্মা, ঘনিষ্ঠ চুম্বন
লেখার টেবিলে শুধু শূন্যের বুদুদ

পুড়ে পুড়ে শেষ স্মৃতি ছাই হয়ে গেলে
শ্মশানবন্ধুর মতো
অক্ষরেরা নেমে যায় পুণ্যপুকুরের জলে,
লেখার টেবিল জুড়ে সেই অবসাদ

কালি ও কলমে ইদানীং অসুখের প্রত্নচ্ছবি

৭০