পাতা:কবিতাসংগ্রহ ১ - তপোধীর ভট্টাচার্য.pdf/৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

দৈনন্দিন

দিনের মুখোশ থেকে চতুরতা শিখে নেয়
রাতের আদল
কত মায়া কত ভ্রমে পথ থেকে মেখে নিই।
ধুলো-রেণু, আধ-পোড়া
ভারত-কঙ্কাল থেকে তুলে আনি নির্বিকল্প ছাই

যত যাই, দেখি, পথের উপরে পালক ছড়ানো
এ-পথে গিয়েছিলে তুমি?
তবে কেন পালক কুড়োতে গিয়ে দুটি হাত
রক্ত মেখে এল!

দিনের স্পন্দন থেকে রাত শিখে নেয়
ক্ষয় ও স্বলন
তবু রেখে আসি ভোরের আজানে, বৎসল মুহূর্ত
শুধু তোমার কাছেই


যাবরে

যাবরে সঙ্গীতে যাব ভঙ্গিতে ভুলিয়ে শোকগাথায়
যাব আলোকে ভূলোকে শুকনো মালায় গেঁথে দিয়ে রূঢ়গন্ধপ্রাণ
যাব স্তবের অমিয় থেকে ভুবন-মেলায় নিয়ে ভূমধ্য-বসুধা
যাব ভুলে নিদ্রিত কুসুমে এই অনাঘ্রাত ভোরে ঘোর অবেলায়
যাবরে সঙ্গীতে আর ভঙ্গিতে ভুলিয়ে শোকগাথায়
এতক্ষণ ছিল দিন ছিল গান ছিল রাত ছিল আর্ত যুগ্নহৃদি
ছিল কারো প্রায়োপবেশন কারো চর্য্যচুষ্যপেয়
আজ শুধু যায় দিন যায় গান যায় রাত যুগ্মহৃদি অতিশয়
ঘোর অবেলায় ভুলে নিদ্রিত কুসুমে আর ভূবন-মেলায় গেঁথে দিয়ে
রূঢ়গন্ধপ্রাণ নিয়ে ভূমধ্য-বসুধা এই অনাঘ্রাত ভোরে শুনি স্তবের অমিয়
যাবরে সঙ্গীতে যাব ভঙ্গিতে ভুলিয়ে শোকগাথায়

৭১