পাতা:কবিতাসংগ্রহ ১ - তপোধীর ভট্টাচার্য.pdf/৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

কার কাছে শিখে নিই রোজ পল্লবিত লিপি
তবু থাকি একা
প্রতিরোধহীন? বলো, কার কাছে তুলে দিই
আমার প্রস্তুতি!


হা রে অলস মৌনতা, হা রে তন্দ্রালীন
কেন ঋণ মেনে নিস
বারবার, নাবিকের অভিমানে নিজেকে ভোলাস
কেন? এই ভাঙনের ভাষা
আর স্রোতের উচ্ছ্বাস থেকে সরে যাস যদি
মূর্চ্ছাহত, টুটো-ফাটা মানুষেরা
কোথায় দাঁড়াবে।


বারো মাসে তেরোটি পার্বন দাও
মেঘের শ্রবণ! চক্ষু দাও
তোমার কবিকে। দুয়ে পক্ষ তিনে নেত্র
গাইতে-গাইতে ভুলে যাই
কতখানি ফাঁকি দিয়ে গেছে শুভঙ্কর
দ্যাখো, লিখন-ফলক ছুঁয়ে সহসাই
ফিরে আসে বীজের প্রতিভা ধানজমি থেকে


বাজো, প্রাকৃত-বচন, বেজে ওঠো
কথার জাঙাল ভেঙে। আনো
শাকস্তুরী গান, দ্বিধা ছিড়ে-খুঁড়ে এই
আতুরের দেশে। পোড়ামাটি
থেকে গড়ো রাধিকা-সুন্দরী, নাচো
মাঘমণ্ডলের গীতে হেলিয়া দুলিয়া।
বাজো, বাজো প্রাকৃতবচন, জেগে ওঠো
বাস্তুর সন্ধানে। কথার জাঙাল ভেঙে
নিয়ে এসো শাকম্ভরী গান।

৯৫