পাতা:কবিতাসংগ্রহ ৩ - তপোধীর ভট্টাচার্য.pdf/৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

করমর্দনের জন্যে হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে আকাশ
পেছনে নেপথ্য-সঙ্গীত হয়ে বেজে উঠছে
নায়গ্রা প্রপাত আর কোটি কোটি জলকণা দিয়ে ধুয়ে দিচ্ছে
অলীক বাস্তব: এই দৃশ্যপট থেকে ফিরে আসি
যেদিকে দুচোখ যায়, দেখি শান্তি কল্যাণ হয়েই আছে
মুখর হয়েছে নীরবতা মাটি থেকে আকাশ অবধি
কান্তিময় রোদ ঠিকরে পড়ছে তুমুল ভাস্কর্য জুড়ে
শান্ত হাওয়ায়-হাওয়ায় সিম্ফোনি বাজে অবিরল

দেখতে-দেখতে ভারি হয়ে আসছে কনীনিকা
তন্দ্রায়, আবেশে হঠাৎ তখন আছড়ে পড়ল জাজ
উন্মাদের মতো লক্ষ ডেসিমেলে ...

শাতো লোরিয়ে হোটেল, অটোয়া, ১৯.৬.১১
কানাডা- সময় বিকেল ৫-০৫ (ভারতীয় সময় ভোর ২-৩৫)


আদিম অরণ্য ছিল কোনোদিন, ছিল
স্বপ্নের একান্ত পথ
কোমল সবুজ ঘাস আর পাথরের চূর্ণ মায়া
নিংড়ে নিয়ে গড়ে উঠেছিল
ছায়ামানুষের গাঢ় চলাচল ভাঁটায়-উজানে
এই কথকতা শুনে শুনে
উদাসীন পর্যটক বেছে নেয় ক্যামেরার প্রিয় ল্যাণ্ডস্কেপ
যাদুঘরে থরে থরে থাকুক সাজানো
প্রত্নকথা, নির্বাসিতদের ট্যুরিস্ট-শোভন জীবাশ্ম ভাঁড়ার

তদেব, বিকেল ৩-১৫ (অটোয়া, ভারতীয় সময় সকাল ৫-৪৫)

৭৮