পাতা:কবিতাসংগ্রহ ৩ - তপোধীর ভট্টাচার্য.pdf/৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

পেছনে যা পড়ে রইল, তার নাম দিই ছাই
কিংবা ভস্ম নাহলে বরং
ফটোগ্রাফ-হীন ফ্রেম, কোনোদিন তাও খসে পড়বে
দেয়ালের গায়ে হয়তো বা
রেখে যাবে পেরেকের সামান্য দাগ ...
সবই কি ছাই? আগুনের আঁচ ছিল না কোথাও!

ভাষায় সংযোগ নেই, শুধু চতুরতা
প্রসাধন-স্তুপ
এত বেশি চতুরতা থেকে মিথ্যার বল্মীক
সেও ছিল ভালো
কোথায় বিয়োগ শুরু যদি জেনে নিই
তবে সরে যাব
কোলাহল থেকে আর ভাষার সীমায় গিয়ে
চোখের আলোয়
খুঁজে নেব পুরাণ-প্রতিমা কীভাবে জেগেছে

ততক্ষণ লিখি পুরোনো ফ্রেমের স্মৃতিকথা
যত তীব্র অসংযোগ
মিশে যাক ছাইয়ের গাদায় আর ছাই মেখে-মেখে
ছাই হোক বানানো কথারা
ছড়িয়ে পড়ুক ভস্মস্তুপ, রুদ্ধতর হোক অন্ধকার

চলো, খুঁজে নিই আগুনের আঁচ

কানাডা সময় দুপুর ১-০০ (ভারতীয় সময় রাত ১০-২০)

বাসে অটোয়া থেকে মণ্ট্রিলের পথে ২১.০৬.১১

৮০