পাতা:কবিবর ৺ভারতচন্দ্র রায় গুণাকরের জীবন বৃত্তান্ত.djvu/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
[ ৫ ]

বাস করত তাজপুর গ্রামে সংক্ষিপ্তসার ব্যাকরণ এবং অভিধান পাঠ করিতে লাগিলেন, চতুর্দ্দশ বৎসর বয়ঃক্রম সময়ে এই উভয় গ্রন্থে বিলক্ষণ নৈপুণ্য লাভ করিয়া নিজালয়ে প্রত্যাগত হইয়া ঐ মণ্ডলঘাট পরগণার তাজপুরের সান্নিধ্য সারদা নামক গ্রামের কেশরকুনি আচার্য্যদিগের একটী কন্যাকে বিবাহ করিলেন, সেই বিবাহের পর তাঁহার অগ্রজ সহোদরেরা অতিশয় ভর্ৎসনা পূর্ব্বক কহিলেন “ভারত! তুমি আমারদের সকলের কনিষ্ঠ হইয়া এমন অনিষ্টকর কার্য্য কেন করিলে? সংস্কৃত পড়াতে কি ফলোদয় হইবে? তোমার এ বিদ্যার গৌরব কে করিবে? শিষ্য নাই, ও যজমান নাই, যে, তাহারদিগের দ্বারা সমাদৃত হইবে ও প্রতিপালিত হইবে” জগদীশ্বরেচ্ছায় এই তিরস্কার তাঁহার পক্ষে পুরস্কার অপেক্ষাও অধিক কল্যাণকর হইল, কারণ তিনি তচ্ছ্রবণে অতিশয় অভিমান-পরবশ হইয়া জিলা হুগলির অন্তঃপাতি বাঁশবেড়িয়ার পশ্চিম দেবানন্দপুর গ্রাম নিবাসি কায়স্থকুলোদ্ভব মান্যবর ৺রামচন্দ্র মুন্সী মহাশয়ের ভবনে আগমন পূর্ব্বক পারস্ত ভাষা অধ্যয়ন করিতে আরম্ভ করিলেন, মুন্সীবাবুরা তাঁহার প্রতি বিশেষ স্নেহ পূর্ব্বক বাসা দিয়া, সিধা দিয়া সুনিয়মে সদুপদেশ করিতে লাগিলেন। এই কালে ভারতচন্দ্র সংস্কৃত ও বঙ্গভাষায় কবিতা রচনা করিতে পারেন, কিন্তু তাহা কাহারো নিকট প্রকাশ করেন না এবং রীতিমত কোন বিষয়েরি বর্ণনা করেন না। —সময় বিশেষে কেবল মনে