পাতা:কবিবর ৺ভারতচন্দ্র রায় গুণাকরের জীবন বৃত্তান্ত.djvu/৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ २ > ] সম্মান সহযোগে রাজাকে অাসনাৰূঢ় করত অশেষ প্রকার সদালাপ সমাপনানন্তর কহিলেন “ মহারাজ ! আমার একটি নিবেদন আছে, এই ভারতচন্দ্র অামার অতি আত্মীয় ব্যক্তি, ইনি অমুক অমুকের সন্তান, সংস্কৃত জানেন, পারস্য জানেন, কবিতাশক্তি ভাল আছে, অধুনা দীনাবস্থায় অতিশয় ক্লেশ পাইতেছেন, যাহাতে প্রতিপালিত হয়েন এমত অনুগ্রহ বিতরণ করিতে অণজ্ঞা হউক”—মহারাজ তণহাতে অঙ্গীকৃত হইয়া কহিলেন “ আমি এইক্ষণে কলিকাতায় চলিলাম, কালী দর্শন করিয়া কালীঘাট হইতে কৃষ্ণনগর রাজধানীতে প্রত্যাগত হইলে ইনি যেন তথায় গিয়া আমার সহিত সাক্ষাৎ করেন । - রাজ। কৃষ্ণচন্দ্র কলিকাতা হইতে কৃষ্ণনগরে গমন করিলে পর ভারতচন্দ্র তথায় গিয়া তাহার সহিত সাক্ষাৎ করিলেন । রাজা ভগহণকে পাইয় পরিতুষ্ট হইয়। ৪০ টাকা মাসিক বেতন নির্দিষ্ট করত বাস। প্রদান করিলেন, এবং কহিলেন “ তুমি প্রতিদিন প্রাতে ও সন্ধ্যার পর আসিয়া অামার সহিত সাক্ষাৎ করিবা”-—তিনি তদনুসারে তন্নগরে থাকিয়া প্রত্যহ নিয়মিত সময়ে রাজসভায় উপস্থিত হন, এবং মধ্যে মধ্যে দুই একটি কবিতা রচনা করিয়া রাজাকে দেখান, নবদ্বীপাধিপতি প্ৰফল্লিত হইয়। কবি-শ্রেষ্ঠ ভারতচন্দ্রকে “গুণাকর” উপাধি প্রদান করত অভিজ্ঞা করিলেন “ ভারত ! তোমার প্রণীত কবিতায় অামার মনে অত্যন্ত গ্ৰীতি জন্মিয়াছে, কিন্তু আমি