পাতা:কবিবর ৺ভারতচন্দ্র রায় গুণাকরের জীবন বৃত্তান্ত.djvu/৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ २२ ] এৰম্প্রকার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পদ্য শুনিতে ইচ্ছা করি না” ভারত বলিলেন “ মহারাজ ! কিৰূপ রচনা করিতে অনুমতি করেন” রাজা কহিলেন “মুকুন্দরাম চক্রবর্তী (যিনি কবিকঙ্কণ নামে বিখ্যাত ছিলেন,) তিনি যে প্রণালীক্রমে ভাষা কবিতায় “চওঁী” রচিয়াছিলেন, তুমি সেই পদ্ধতিক্রমে “অন্নদামঙ্গল” পুস্তক প্রস্তুত কর” সেই আজ্ঞা পালন পূৰ্ব্বক কবিকেশরী অন্নদামঙ্গল বর্ণনা করিতে আরম্ভ করিলেন। একজন ব্রাহ্মণ লেখকৰূপে নিযুক্ত হইয়া তৎসমুদয় লিখিতে লাগিলেন, এবং নীলমণি সমাদার নামক একজন গায়ক সেই সকল “পালা” ভুক্ত গীতের স্বর, রাগ এবং পাচালী শিক্ষা করিয়া প্রতিদিন গণন করিতে লাগিলেন। রচনা সমাধার পূর্বে রাজ তদন্টে অনিৰ্ব্বচনীয় সন্তোষ-পরবশ হইয়া কহিলেন “বিদ্যাসুন্দরের উপাখ্যান সংক্ষেপে বর্ণনা করত ইহার সহিত সংযোগ করিতে হইবে” পরে তিনি অস্তি কৌশলে বিদ্যাসুন্দর রচনা করিয়া রাজাকে দেখাইলেন । নৃপতি তদর্শনে আহলাদ রাখিবার স্থান প্রাপ্ত হইলেন না। ঐ অন্নদমঙ্গল এবং বিদ্যাসুন্দরের গুণের ব্যাখ্যা অামি কি করিব? তাহার উপমার স্থল নাই বলিলেই হয়, এই ভারতে ভারতের ভারতীর ন্যায় ভারতের ভারতী সমাদৃত ও প্রচলিত হইয়াছে —এই চারু গ্রন্থের পর “রসমঞ্জরী ” রচনা করেন, তাহাও সৰ্ব্বপ্রকারে উৎকৃষ্ট হইয়াছে । অন্নদামঙ্গল, বিদ্যাসুন্দর, ও ভবানন্দ মজুমদারের পাল৷ এ তিন একি পুস্তক, কেবল রসমঞ্জরী খানি স্বতন্ত্র ।