পাতা:কবিবর ৺ভারতচন্দ্র রায় গুণাকরের জীবন বৃত্তান্ত.djvu/৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سنان ] কীৰ্ত্তিৰূপে বিরাজ করিতেছেন। কবিতার প্রতি যখন কটাক্ষ করিতেছি, তখনি তাহাকে দেখিতেছি । অন্নদামঙ্গল, দ্বিদ্যাসুন্দর, মানসিংহের পালা, ভবানন্দ মজুমদারের উপাখ্যান, সত্যনারায়ণের ব্ৰত কথা, নৃগোষ্টক, চণ্ডীনাটকের কিয়দংশ, এবং আর আর কবিতা সকল তাহার অঙ্গ প্রত্যঙ্গ হইয়াছে। তথাপি এই মহাপুরুষের জীবিতাবস্থায় ষদিস্যাৎ আমরা মানবৰূপে মহীমণ্ডলে প্রস্থত হইতে পারিতাম, তবে কি এক অদ্বিতীয় উল্লাসের বিষয় হইত ? কাব্য-তরুর আশ্রিত হইয়া ছায়ায় বিশ্রাম করিতাম--শাখায় চুলিতাম—ফুলের সৌরভে আমোদিত হইতাম—এবং ফলের আস্বাদনে প্রচুর পরিতোষ প্রাপ্ত হইতাম-আপनिं थना হইতাম-ইন্দিরগণকে চরিতার্থ করিতাম—এবং জন্ম সফল করিতাম । আছা? কি সুখের সময় সূকল গত হইয়াছে —অধুন। সেই রাজা কৃষ্ণচন্দ্র নাই, সেই সমুদয় উৎসাহদাতা ভাগ্যধর পুরুষ নাই, সেই ভারতচন্দ, নাই, সেই রামপ্রসাদ সেন নাই, আর সেই কিছুই নাই। এই কাল মিথ্যা কাল। এইক্ষণে র্যাহার কবি আছেন, কেহই তাহারদের সাহস দেন না, আদর করেন না, সুতরাং হৃদয়পক্ষ প্রফুল্লকর-রবি বিরহে আধুনিক কবি সকল মনের ছুখে কেৰল মলিন হইতেছেন । - কাব্যকর্তী কবিকেশরী ভারতচন্দ, এইৰূপ আমোদ আহাদ, হাস্য কৌতুকে কয়েক বৎসর কাল হরণ করত ১৬৮২ শকে ৪৮ বৎসর বয়সে বহুমুত্র-রোগে মানবলীল।