পাতা:কবিবর ৺ভারতচন্দ্র রায় গুণাকরের জীবন বৃত্তান্ত.djvu/৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 8 - ) ध६} ! “বেদ লয়ে ঋষি ব্লসে, ব্রহ্ম নিরূপিল । সেই শঙ্কে এই গীত, ভারত রচিল ।” এই প্রধান গ্রস্থের পরেই “রসমঞ্জরী” রচনা করেন, তাহাতেও অত্যাশ্চর্ষ্য কবিত্ব প্রকাশ পাইয়াছে, ইনি আর কিছুকাল জীবিত থাকিলে কি সুখের ব্যাপার হইত ! তাহার মানস-সমুদ্রে প্রতিনিয়ত ষে সকল ভাবের তরঙ্গ প্রবাহিত হইত, তিনি সাধারণকে তাহার লহরী-লীলা দেখাইতে পারেন নাই, বহু দুঃখ ও বহু কষ্ট ভোগ করিয়৷ সৰ্ব্বশেষে-সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ মহতাশ্রয় প্রাপ্ত হইয়াছিলেন, মনোনীত স্থানে বাটী প্রস্তুত করিয়াছিলেন, রাজ কৃপায় তিনি মাসিক বৃত্তি ও ভূমি সম্পত্তি লাভ করিয়াছিলেন, নিশ্চিন্তু হইয়া ক্রমে ক্রমে গ্রন্থ দ্বার। আপনার বিচিত্র ক্ষমতা এবং অস্তুত ভাব ঘটিত কবিতাশক্তি প্রকটন করিবেন, এমত সময়েই বিষমতর বিড়ম্বন৷ হইল । আহা ! দুঃখের কথা লিখিতে হইলে চক্ষের জলে ভাষিতে হয়। জগদীশ্বর কবিদিগ্যে অরোগি ও দীর্ঘজৰি করেন না ! আয়ুর কথা উল্লেখ করাই বৃথা, র্যাহারা কৰি, তাহার। যতদিন জীবিত থাকেন, ততদিন সুস্থ থাকিতে পারিলেও মুখের পরিসীমা থাকে না । এ জগতে সুস্থতার অপেক্ষ মহামঙ্গলময় ব্যাপার আর কিছুই নাই । মুখ বল, সন্তোষ বল, আনন্দ বল, বিদ্যা বল, বুদ্ধি বল, শক্তি বল, উৎসাহ বল, অনুরাগ বল, চেষ্টা বল, যত্ন বল, ভজন বল, সাধনা বল, যে কিছু বল, এই সুস্থতাই